সব মা-বাবাই চায় জন্মের সময় তাদের সন্তানের ওজন ঠিকঠাক থাকুক। কিন্তু সবসময় তা হয়ে ওঠে না। শিশুর কম ওজন সব মায়েদের কাছেই একটি চিন্তার বিষয়। ভালো ভাবে পরিপুষ্ট মায়েদের ক্ষেত্রে জন্মের সময় শিশুর ওজন ২.৫ কেজির কম হলে তা আন্ডারওয়েটের লক্ষণ। তাই এই আন্ডারওয়েট শিশুদের ওজন স্বভাবিক করে তুলতে আসুন জেনে নিন কিছু উপায়।
১। ব্রেষ্ট ফিডিংঃ শিশুকে সঠিক ওজন জোগাতে ব্রেষ্ট ফিডিং সবথেকে ভালো উপায়। প্রিম্যাচিউরড শিশু আর কম ওজনের শিশু কিন্তু এক নয়। কিন্তু কম ওজনের শিশুরা সহজে ব্রেষ্ট ফিডিং করতে পারে না। এক্ষেত্রে মায়েরা তাদের উৎসাহিত করতে পারেন। যদি একান্তই সে খেতে না চায়, তবে মায়েরা ছোট স্টেরিলাইজড কাপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে বুকের দুধ সঞ্চয় করে তা খাওয়ান। দু ঘন্টা অন্তর শিশুকে অবশ্যই দুধ খাওয়ান।
২। খাবারে থাকুক মিনেরেলস্ মায়ের খাবারে এইসময় বেশি পরিমাণে মিনেরেলস্ থাকা উচিত। এই মিনেরেলস দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে যায়। শিশুর হাড়কে মজবুত করে ও ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। মায়েদের খাবারে এই সময় আয়রন, ফোলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিনসের মাত্রা বেশি থাকা প্রয়োজন। প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
৩। শিশুর উষ্ণতা খেয়ালে রাখুনঃ কম ওজনের শিশুর পক্ষে তার শরীরের উষ্ণতা তার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে দরকার আপনার বিশেষ মনোযোগ। শিশুর মাথা থেকে তার দেহের উষ্ণতার সবচেয়ে বেশি অংশ শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়। তাই মাথা সঠিকভাবে ঢেকে রাখুন যাতে সহজে শরীর তাপ না হারায়। গরমের সময় বেশি কাপড় দিয়ে শিশুর শরীর ঢাকবেন না। ডাইপার পাল্টানোর সময় কখনোই শিশুর নিম্নাঙ্গের কাপড় সম্পূর্ণ খুলবেন না। চেষ্টা করুন সবসময় আপনার শরীরের কাছে তাকে রাখতে। আপনার তাপের সঙ্গে তবেই ও ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে পারবে।
৪। খোলা ঘরে রাখবেন নাঃ শিশুর ঘর সবসময় বন্ধ করে রাখুন। বাইরের দূষিত হাওয়া কম ওজনের শিশুর জন্য মোটেই ভালো না। এতে শ্বাসনালীর ইনফেকশন , বুকের ইনফেকশন ইত্যাদি সহজেই হয়। বাইরের কোনওরকম জীবাণু যাতে ঘরে না ঢুকতে পারে তার জন্য বাইরের লোকের আসা যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন। এটা শুনতে খারাপ লাগলেও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য তাকে বাইরের ইনফেকশন থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কম ওজন হওয়ায় শিশুর ইমিউনিটি লেভেল বা প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল থাকে, তাই বাইরের হাওয়া কিন্তু কখনোই নয়।
৫। খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন মায়ের খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ এই সময়ে শিশুর জন্য অত্যন্ত জরুরি। আপনার খাবারের প্রভাব আপনার শিশুর উপর পড়বেই। আপনার রোজকার খাবারের রুটিন থেকে বাদ দিতে হবে যেকোনও রকমের স্পাইসি খাবার, খাবারে রাখুন বেশি পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বস। পিজা, বার্গার, রোল, চাউমিন তো নয়ই, বাদ দিতে হবে সবরকম স্পাইসি মশলাও। কম ওজনের শিশুর হজমশক্তি দুর্বল হয়, তাছাড়া মশলাদার খাবার মায়েরা খেলে তার প্রভাব দুধে পড়ে, যা ক্ষুদ্রান্ত্রের ইনফেকশন ঘটাতে পারে। তাই তিনমাস পর্যন্ত , যতদিন শিশুর ওজন সঠিক হচ্ছে, মায়েরা এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
ভাঙন পদ্ম শিবিরে, মালদায় তৃণমূলে যোগদান শতাধিক কর্মী সমর্থকের
গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক নাবালিকার
Dilip Ghosh: আজ বিয়ের পিড়িতে দিলীপ ঘোষ! কিভাবে ফুটল বিয়ের ফুল?
‘Bangladesh Should Be Broken Apart,’ Says Tripura’s ‘King’ in Response to Yunus’ Comments
পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের বলিউড প্রত্যাবর্তন ঘিরে উত্তাল মহারাষ্ট্র!
Taslima Nasrin: ‘Islam is not my religion…’—A Definitive Statement on Eid
Heatwave Alert: West Bengal, 16 Other States Brace for Extended Heatwave Days from April to June
Former Pakistani Prime Minister Imran Khan Nominated for the Nobel Peace Prize
কল্যাণীতে দুঃসাহসিক ছিনতাই! কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা লুঠ
Durga Puja 2024: অভিনব উদ্যোগ! মহালয়ার দিন অঙ্কন প্রতিযোগিতা করল কাঁচরাপাড়া আমরা সবাই ক্লাব