CBI Raid: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফিরহাদ হাকিমের দফতরে CBI হানা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফিরহাদ হাকিমের দফতরে CBI হানা! সল্টলেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ‘পুরোটাই রাজনীতি’, অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, বুধবার একযোগে রাজ্যের মোট ১৪টি পুরসভায় পৌঁছন সিবিআই-এর একদল আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ‘রাজনীতির’ গন্ধ পান ফিরহাদ। তিনি জানেন না কী উদ্দেশ্যে এ দিনের হানা। তবে ত্রাস তৈরির চেষ্টা চলছে বলে কটাক্ষ করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী।

পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। বেরনোর সময় ওই দফতরের দু’জন কর্মচারীকে গাড়িতে তুলে ডিডি ব্লকে নিয়ে যান।

বুধবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় একযোগে তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতা থেকে জেলা, পুর ও নগরোয়ন্নয় দফতরের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক পুরসভায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া, দক্ষিণ দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দমদম, পানিহাটি, কামারহাটি, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, শান্তিপুর-সহ ১৮টি পুরসভায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, মূলত নথি উদ্ধারের জন্যই রাজ্যের এই পুরসভাগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। এদিন কলকাতার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ১০০ জন সিবিআই অফিসারের ১৬টি দল তল্লাশি অভিযান চালানোর জন্য বের হয়। পুরসভাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন গোয়েন্দারা, সিবিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, পুরসভায় অভিযান চালানোর পাশাপাশি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের সংস্থার নামে থাকা এবিএস ইনফোজোনের অফিসেও তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি অয়নের চুঁচুড়ার পৈতৃক বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল। সেখানে অয়নের মা-বাবার সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিভিন্ন পদে, তা সে মজদুর, ক্লার্ক, ঝাড়ুদার, ড্রাইভার থেকে শুরু করে সব পদেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ড অব কাউন্সিলরদের মিটিংয়ে প্রস্তাব পেশ করে তা পাশ করতে হয়। সেক্ষেত্রে পাশ হওয়া রেজিলিউশনে কোন কোন কাউন্সিলরের সই রয়েছে, সেই তথ্যও সংগ্রহ করবে সিবিআই।

উল্লেখ্য, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এফআইর দায়ের করেছিল। সিবিআই সূত্রে দাবি, মোটা টাকার বিনিময়ে মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই নিয়োগ দুর্নীতির পিছনে প্রভাবশালীদের একাংশের হাত রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার তদন্তে সেই সংক্রান্ত প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূ্র্ণ তথ্য পাওয়া যায়। সম্প্রতি ইডির পক্ষ থেকেও রাজ্যের সব পুরসভাগুলির থেকে ২০১৪ সালের পর থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। এদিকে, সিবিআইয়ের অভিযান নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযানে নেমেছে সিবিআই। এখন কোনও প্রভাবশালীর নাম তদন্তে উঠে আসে কি না, সেটাই দেখার।

পুরো নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের ১৮ টি পৌরসভায় সিবিআই হানা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুরো নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের ১৮ টি পৌরসভায় সিবিআই হানা । বুধবার সকাল থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় একযোগে তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতা থেকে জেলা, পুর ও নগরোয়ন্নয় দফতরের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক পুরসভায় তল্লাশিতে সিবিআই আধিকারিকরা। নিউ ব্যারাকপুর, পানিহাটি, টিটাগড়, কাঁচরাপাড়া পুরসভা সহ ১৮টি পুরসভায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

আরো পড়ুন- Cyclone: ধেয়ে আসছে ‘বিপর্যয়’! সাবধান করল হাওয়া অফিস

সিবিআই সূত্রে খবর, মূলত নথি উদ্ধারের কারণেই এই পুরসভা গুলিতে তল্লাশি অভিযান চলছে। এদিন কলকাতার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে ১০০ জন সিবিআই অফিসারের ১৮টি দল তল্লাশি অভিযান চালানোর জন্য বের হয়। পুরসভা গুলির আধিকারিক সঙ্গেও কথা বলবেন গোয়েন্দারা, সিবিআই সূত্রে এমনটা খবর।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলবন্দি অয়ন শীলের চুঁচুড়া ও সল্টলেকের বাড়ি-অফিসেও চলছে তল্লাশি। উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুর, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, কামারহাটি, পানিহাটি, বরানগর, টিটাগড়, দমদম, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, টাকি, বাদুড়িয়া-সহ ১৮টি পুরসভায় হানা দিয়েছে সিবিআই। এছাড়া, নদিয়া জেলার দুটি পুরসভা শান্তিপুর ও কৃষ্ণনগরেও চলছে তল্লাশি।

সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। মজদুর, ক্লার্ক, ঝাড়ুদার, ড্রাইভার থেকে শুরু করে সব পদেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ড অব কাউন্সিলরদের মিটিংয়ে প্রস্তাব পেশ করে তা পাশ করা হয়। পাশ হওয়া রেজিলিউশনে কোন কোন কাউন্সিলরের সই রয়েছে, সেই তথ্যও সংগ্রহ করবে সিবিআই।

স্কুলে গরমের ছুটির মেয়াদ আরো বাড়লো, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গরমের ছুটি নিয়ে বড় আপডেট। গত ২ মে রাজ্যে গরমের ছুটি পড়েছিল। তারপর কেটে গেছে একমস। কিন্তু গরমের ছুটি কবে শেষ হবে তা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা । এবার গরমের ছুটি নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরো পড়ুন- উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বেতনা নদীর ওপরেই অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ

রাজ্যের স্কুলগুলির গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়ল আরও ১০ দিন। ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী ৫ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি। ৭ জুন থেকে প্রাথমিক স্কুলগুলিও খোলার ঘোষণা করা হয়। তবে বুধবার রাজ্যের তরফে গরমের ছুটির মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়িয়ে তা ১৫ জুন পর্যন্ত করে দেওয়া হল।

গত ২ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছিল। পর্ষদের বার্ষিক ছুটির তালিকা অনুযায়ী, গরমের ছুটি শেষ হওয়ার কথা আগামী ৪ জুন। তার পর ৫ তারিখ থেকে স্কুল খোলা হবে কি না, সে বিষয়ে শিক্ষা দফতরের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। এর পরেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৫ জুন থেকে স্কুল খোলার কথা জানানো হয়। কিন্তু বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, এখনই গরমের ছুটি শেষ হচ্ছে না। পাশাপাশি গরমের ছুটির মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বেতনা নদীর ওপরেই অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বেতনা নদীর উপর ইট বালি সিমেন্ট দিয়ে অবৈধ নির্মানের অভিযোগ। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, গরু চুরির পর এবার কার্যত নদী চুরি হচ্ছে। প্রশাসনের দারস্থ হয়েও কোনো সূরাহা মিলেনি। এমনকি চলতি মাসের শুরুতে বিডিও অফিসে জানালে, পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করলেও ফের কাজ শুরু হয়। অভিযোগ নেপথ্যে রয়েছে মোটা টাকার খেলা।

একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাগদা থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য পরিতোষ সাহা। তিনি বলেন, ‘‘নদী দখল করে বেআইনি নির্মাণের খবর পাওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন এবং ব্লক ভূমি দফতরকে একাধিকবার জানিয়েছিলাম। নিজে গিয়ে তো আর নির্মাণ ভাঙতে পারি না। পুলিশ প্রশাসন কী করছে জানি না।’’

ব্লক ভূমি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে গোপন রিপোর্ট বিডিও-র কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিডিও সৌমেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ভূমি দফতরের তদন্ত-রিপোর্ট মহকুমাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনিই পদক্ষেপ করবেন।’’

আরো পড়ুন- প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

সংস্কারের অভাবে বেতনা দীর্ঘদিন মৃতপ্রায়। কচুরিপানায় ভরা। বাগদা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ওই নদীর জমি দখল করে নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে গত ৩০ এপ্রিল সকালে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছিল, যাঁরা নির্মাণকাজ করছেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। এর পরে ব্লক ভূমি দফতর থেকেও কর্মীরা গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পরে ফের শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কয়েকজনের দাবি, শুধু অস্থায়ী নির্মাণই নয়, স্থায়ী নির্মাণও হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে ব্লক অফিসের দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ মিটার। প্রশাসনের নাকের ডগায় নদী জবরদখল হয়ে যাচ্ছে দেখেও কর্তাদের হুঁশ ফিরছে না বলে তাঁদের অভিযোগ।

যাঁরা ওই সব নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ‘‘বেতনা নদীর জমিতে প্রায় ৫০টি দোকান তৈরি হয়ে গিয়েছে। পুলিস ও ভূমি দফতরের নির্দেশমতো আমিও কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। অন্যদের দেখাদেখি আবার শুরু করেছি। পুলিশ প্রশাসন মনে করলে ভেঙে দিতে পারে।’’

তবে, শুধু ওই বাজার এলাকাতেই নয়, ব্লকের নানা জায়গায় নদীকে রুদ্ধ করা হয়েছে। কোথাও মাটির বাঁধ দেওয়া হয়েছে, কোথাও নদীর জমি কেটে ছোট ছোট জলাশয় তৈরি করে মাছ চাষ করা হচ্ছে, এমনকি, নদীর মাটিও কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

একসময়ে বাগদা ব্লকের একাংশ এবং বাগদা বাজার এলাকার বর্ষার জল নিকাশির প্রধান মাধ্যম ছিল বেতনা। কিন্তু এখন নদী মৃতপ্রায় হওয়ায় জমা জল সেখানে প্রায় নামেই না। তার উপর নদী দখল হয়ে যাচ্ছে দেখে আপত্তি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, কয়েক বছর আগেও নদী দখল করে বেআইনি নির্মাণের চেষ্টা হয়েছিল। তখন তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য ওই কাজ বন্ধ করে দেন।

গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, এলাকার একমাত্র জল নিকাশি ব্যবস্থা এই বেতনা নদী। এ ভাবে বিনা বাধায় নদীর জমি দখল চলতে থাকলে বর্ষার সময় জল নিকাশি ব্যবস্থা পুরো ভেঙ্গে পড়বে।

প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujayKrishna Bhadra Arrested)। ইডি সূত্রে খবর, তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসে কাজ করা এই কর্মচারীকে।

আরো পড়ুন- বড় খবর! রাজ্যে নতুন শূন্য পদে ১ লাখ ২৫ হাজার নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩০ মে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা বলেন গোপাল দলপতি। যদিও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কোনওভাবেই কোনও দর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না বলে মত তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্রের। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam Case) গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujayKrishna Bhadra) । প্রসঙ্গত, গত ২১ মে সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি-অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে ১১টি মোবাইল ফোন, একাধিক পেন ড্রাইভ সহ বেশ কয়েকটি হার্ডডিস্ক। প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে ইডি কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে সুজয় ভদ্রের বাড়ির থেকে বেরিয়ে যায়।

সুত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সঙ্গেও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও জামাইয়ের জন্য জমি কিনতে টাকা দিয়েছিলেন শান্তনুর স্ত্রীকে। এমনটাই দাবি করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। শেষ পর্যন্ত তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

TET Scam: প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে নজরে এবার ২০১৬! ৪২ হাজর ৫০০ প্রার্থীর তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (TET Scam) নিয়ে দুটি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে চলে গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন আরও মামলা কাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবুও তিনি উদ্যম হারালেন না। সক্রিয় হয়েই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬-য় নিযুক্ত ৪২ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তথ্য তলব করলেন।

প্রাথমিকে নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে থাকে আধিকারিদের তলব করে নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়।

তাতেই প্রকাশ হয়ে হিয়েছে প্রার্থীদের কোনো অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়ে গড় নম্বর বসানো হয়েছে। ফলে ফের নিয়োগ বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

আরো পড়ুন – SSC Scam: ২৬ জনকে চাকরি দিতে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা তুলেছিল শান্তনু, বিস্ফোরক দাবি ইডির

এবার তিনি প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে নিযুক্ত ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষকের বিস্তারিত রিপোর্ট পর্ষদের কাছে চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট আকারে এই তথ্য পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বুধবারই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই।

সেই রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই দুর্নীতি হয়েছে। তারপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আবার নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৬ সালের ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে প্রাথমিকে নিযুক্ত শিক্ষকদের বিস্তারিক রিপোর্টে পাঠাতে হবে পর্ষদকে। ওই ইন্টারভিউয়ের বিত্তিতে ৪২ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়েছিল।

প্রাথমিক নিয়োগ হওয়া ৪২ হাজার ৫০০ প্রার্থীর প্রত্যেকের নাম, জেলা, জাতি ও শ্রেণি জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। এ জন্য পর্ষদকে ২ সপ্তাহ সময়ে দিয়েছেন বিচারপতি। তার মধ্যেই বিস্তারিত তথ্য চাই তাঁর। কেননা এই নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে, এই দুর্নীতি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। ওই নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের ধরন দেখেই স্পষ্ট হয়েছে দুর্নীতির জাল সেথানেই বিছনো ছিল। এখনও মানিক ভট্টাচার্য এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। তবে খুবহ শীঘ্রউ স্পষ্ট হয়ে যাবে সব।

এদিনই সিবিআই আবার প্রশ্ন তুলেছে, দু-দফায় মানিক ভট্টাচার্যের মেয়াদবৃদ্ধির পিছনে কী কারণ রয়েছে, তাও জানা দরকার। সেজন্য দরকার তদন্ত হওয়ার। এই মর্মে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এখন দেখার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতের নতুন কোনো ক্লু সামনে আসে কি না।

রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে শিক্ষা জগতের কর্তাদের মুখোশ খুলে গিয়েছিল বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে। সেই নিয়োগ দুর্নীতির দুটি মামলা থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরও অকুতোভয় তিনি।

তারপরও বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক নন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সাক্ষাত্‍কার সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তাঁর লড়াই চলবে। তিনি জানান, লড়াইয়ে যখন নেমেছি, শেষপর্যন্ত লড়ব।

বৃদ্ধকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে

মালদা- মদ্যপ অবস্থায় বাড়ির পাশে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার প্রতিবাদ করাই বৃদ্ধকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার কালিয়াচক থানার মধু ঘাট এলাকায়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত বৃদ্ধের নাম উদয় মন্ডল বয়স(৬০) বছর। আহত হয়েছেন স্ত্রী তরুলতা মন্ডল বয়স(৫৫) বছর ও তার ছেলে উৎপল মন্ডল বয়স(৩২)বছর। তরুলতা মন্ডল বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং উৎপল মন্ডল মালদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তরা হল প্রতাপ চৌধুরী অলোকা চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায় হোলির রাতে মদ্যপ অবস্থায় প্রতাপ চৌধুরী গালিগালাজ করছিল। সেই সময় প্রতিবাদ করে উদয় মন্ডল। এরপর তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। বৃদ্ধকে বাঁচাতে যায় তার ছেলে ও স্ত্রী। তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। রাতেই তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আনা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন আজ সকালে মৃত্যু হয় উদয় মন্ডলের। মৃতদেহ টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।

আমি তো লিখতে পারিনা স্যার! ED কে জানালো কেষ্ট

কৃষক পরিবারে জন্ম। অল্প বয়সেই খেটে খাওয়ার ভাবনা বপন করে নিয়েছিলেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে। পড়াশোনা নামক ‘বিলাসিতা’ তাঁর ক্লাস এইট পর্যন্তই। তারপরই ‘অফ টু’ রোজগারের ধান্দায় খোলা বাজারে। কখনও মুদি দোকানে কাজ করেছেন, কখনও গ্রিলের দোকানে, কখনও মাছের ব্যবসা। লেখালেখির জন্য তাঁকে এই পেশায় খুব একটা বেশি পেন ধরতে হয়নি। যাও বা ধরেছেন তা কেবল বেতাজ বাদশা হওয়ার পর বিভিন্ন ব্যাঙ্কের চেকে সইসাবুত করতেই! অন্তত তাঁর ‘পাস্ট রেকর্ড’ তাই বলে। পড়াশোনার পাট চুকিয়েছেন সেই কস্মিনকালে। কিন্তু ইডি-র খপ্পরে পড়ে আবারও পেন ধরতে হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, লিখতে হবে নিজের বয়ানও! বিশাল ফ্যাসাদে কেষ্ট! অনুব্রতকে দিয়ে বয়ান লেখাতে গিয়ে ফ্যাসাদে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও। লিখতে পারেন না কেষ্ট! বয়ানের শেষে শুধু সইটুকু করেছেন বলে খবর ইডি সূত্রে খবর।

আরো পড়ুন- মহিলারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয় তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে! বলল রাষ্ট্রপুঞ্জ

নিয়ম অনুযায়ী ইডি-র বয়ান রেকর্ড করে ৫০ পিএমএলএ অ্যাক্ট অনুযায়ী। এই আইনে বলা আছে, অভিযুক্তকে কিংবা সাক্ষীকে নিজেকেই নিজের বয়ান লিখে দিতে হয় অফিসারের সামনে। প্রশ্ন তদন্তকারীরা অফিসার করেন। উত্তর অভিযুক্তকে লিখতে হয়। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিও রেকর্ড হয়। গতকাল ইডি হেফাজতের প্রথম দিনে অনুব্রতকে বলা হয় নিজে হাতেই নিজের বয়ান লিখতে। কিন্তু ফ্যাসাদে পড়ে যান তিনি। সূত্রের খবর, এদিক-ওদিক পানে চান। শেষমেশ তাঁর নিষ্পাপ স্বীকারোক্তি, “আমি লিখতে পারি না স্যর। শুধু নাম সই করতে পারি।” এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েন অফিসাররাও। ‘স্যর’রাও মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন। জটিল পরিস্থিতিতে আবারও জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা।

কীভাবে জেরা হবে তা নিয়েই একটা ছোট্ট গোল টেবিল হয়ে যায় ইডি আধিকারিকদের মধ্যে। তারপর এক সিনিয়র অফিসারের নির্দেশে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (sop) মেনে একজন নিরপেক্ষ সাক্ষীকে নিয়ে আসা হয়। যিনি জেরা পর্বে অনুব্রতর দেওয়া উত্তর লিখেছেন। জেরা প্রক্রিয়ার শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর দেওয়া উত্তর পড়ে শোনানো হয়েছে। সব ঠিক আছে বলে জানালে সেই কাগজের নীচে সই করেন কেষ্ট।

পিএমএলএ আইন অনুযায়ী, ইডির কাছে দেওয়া বয়ান আদালতে গ্রহণযোগ্য। অর্থাৎ আদালতে বিচারকের সামনে যে জবানবন্দির সমান। আইনি ভাষায় জুডিসিয়াল স্টেটমেন্ট। ইডি অফিসারের সামনে দেওয়া সেই বয়ানকেও জবানবন্দি হিসেবেই দেখা হয়।

কোন অভিযুক্ত কিংবা সাক্ষী যাতে নিজের দেওয়া বয়ান তাঁকে দিয়ে জোর করে লেখানো বা ভয় দেখিয়ে লেখানো বলে পরবর্তীতে আদালতে দাবি করতে না পারে সেজন্যই ইডিকে এই বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া আছে আইনের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল যেহেতু একজন রাজনৈতিক দলের নেতা, রাজনৈতিক কারণেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণে, তিনি পরবর্তীতে যাতে নিজের বয়ান থেকে সরে যেতে পারেন। কিংবা তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে জোর করে বয়ান লেখানোর অভিযোগ আনতে পারেন, তাই অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে তাঁকে দিয়েই নিজের বয়ান লেখানোর দিকে জোর দিয়েছিল ইডি। কিন্তু তাদের জানা ছিল না, যে তিনি লিখতে পারেন না। ফলে জেরা পর্বের শুরুতেই বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয় এই কারণে। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ সাক্ষী এনে তাঁকে দিয়ে কেষ্টর বয়ান লেখানো হয়।

কংগ্রেসে ছেড়ে সিপিএমের সদস্য পদ নিন, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

আগরতলাঃ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা করে জোট বেঁধে লড়াই করবে কংগ্রেস এবং সিপিএম। এটা একেবারে নিশ্চিত করে দিয়েছেন CPIM এবং Congress নেতারা। আর এই নিয়েই এবার কংগ্রেসকে বিঁধলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। কংগ্রেসের নেতাদের CPIM-র সদস্যপদ নেওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। এক সময়ে Manik Saha ছিলেন কংগ্রেসে। পরে তিনি যোগ দেন BJP-তে। BJP-র রাজ্য সভাপতিও হন তিনি। গত বছর তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।

আরো পড়ুন- পাকিস্তানে চরম খাদ্য সংকট, মোদিকে পাশে চান পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ

এদিকে সেই রাজ্য থেকে শাসক BJP-কে সরাতে সবাইকে জোট বাঁধার ডাক দেয় কংগ্রেস এবং CPIM। তাঁদের দাবি, এই নির্বাচনেই ত্রিপুরা BJP-র অপশাসন থেকে মুক্ত হবে। অন্যদিকে, বাম এবং কংগ্রেসকে বিঁধেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। মানিক সাহা বলেন, “আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে এই রকম অদ্ভূত জিনিস ত্রিপুরায় দেখিনি। আগে, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল CPIM এবং বামেরা। এটা সেখানের অনেক কংগ্রেস নেতাই মেনে নিতে পারেননি। বাংলায় তাঁদের অনেকেই চলে গিয়েছিলেন তৃণমূলে। কারণ তারা CPIM-এর সঙ্গে কোন সমঝোতা করতে চাননি। বাংলার নির্বাচনে একেবারে শূন্য পেয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। আর এখানে তারা একই জিনিস করতে চাইছেন। এখানে কংগ্রেস তো CPIM-র সঙ্গে ঘর করতে শুরু করে দিয়েছে।”

সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস আগেও একাধিকবার তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় বদলেছে। এখানে তারা CPIM-র সঙ্গে জোট গড়ে মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে। তারা এক কাজ করুন, একটা অশুভ আঁতাত বা জোট করার পরিবর্তে পুরোপুরি মিশে যান CPIM-র সঙ্গে। কংগ্রেসের নেতাদের উচিত CPIM-র সদস্যপদ গ্রহণ করে নেওয়া।” তিনি বলেন, সেই জোটে TIPRA যাবে কী না তা নিয়ে আমার কোন ধারনা নেই। তবে তারা যাই করুন না কেন, এতে BJP-র ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

মানিক সাহার দাবি, এবারের নির্বাচনে CPIM এবং Congress দুই দলই হারবে। কারণ, তাঁদের এই অশুভ আঁতাত সেই রাজ্যের মানুষ মেনে নেবেন না। তাঁর দাবি, “কংগ্রেসের অনেক কর্মীই এই জোটে হতাশ। নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীরা CPIM ক্যাডারদের হাতে অত্যচারিত হয়েছিলেন। এখন সেই বামেদের হাত ধরেই হাঁটতে চাইছে কংগ্রেস। সেটা মেনে নিতে পারছেন ওই কর্মীরা। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেবের মতে, এটাই CPIM-র শেষ যাত্রা। কংগ্রেস ত্রিপুরার একেবারে ‘পোস্টার’ হয়ে যাবে বলেও দাবি তাঁর।

সেখানের শাসকদলের নেতাদের দাবি, কংগ্রেস এবং সিপিএমের -র এই জোট প্রমাণ করেছে যে তারা BJP-কে ভয় পাচ্ছে। সেখানের কংগ্রেস এবং CPIM-র কোন আদর্শ নেই বলেও দাবি করেছেন তারা। অন্যদিকে ত্রিপুরার তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেস এবং বামেদের এই জোটকে ভালোভাবে নেবেন না সেখানের সাধারণ বাসিন্দারা। এর সুফল পাবে তৃণমূল কংগ্রেস।

লক্ষাধিক টাকার মাদক সহ গ্রেফতার ১, বড় সাফল্য মালদহের ইংরেজবাজার থানার

মালদাঃ মাদক উদ্ধারে বড় সাফল্য ইমেজ বাজার থানার পুলিশের। গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার ব্রাউন সুগার সহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে কালিয়াচক থানার সীমান্ত সংলগ্ন  ইমামজাগির এলাকা থেকে ওই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০২ গ্রাম ব্রাউন সুগার । যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালদা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় ধাক্কা! বিজেপি কংগ্রেস ছেড়ে ১০০০ কর্মী যোগ দিলেন ঘাসফুলে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শাহাদাদ শেখ। তার বাড়ি কালিয়াচকে। ধৃতের কাছ থেকে ব্রাউন সুগার ছাড়া উদ্ধার হয়েছে একটি মোটর বাইক। এদিন রাতে প্লাস্টিকের প্যাকেট বন্দি ওই ব্রাউন সুগার গুলি বাইরে কোথাও পাচার করার পরিকল্পনা নিয়েছিল ওই মাদক কারবারি। কিন্তু তার আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ অফিসার আনসারুল হকের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায়। এবং ইমামজাগির এলাকা থেকেই বেআইনি ব্রাউন সুগার সহ ধৃতকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে বেজায় ধাক্কা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদৌ প্রভাব পড়বে?

গ্রাম বাংলায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি বেজায় ধাক্কা খাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে সাংসদ থেকে বিধায়ক, দলীয় নেতৃত্ব থেকে মন্ত্রীর সামনেই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূতদের। সম্প্রতি একাধিক কর্মসূচি দেখলে মনে হতে পারে সুরক্ষাকবচ ঢিলে পড়েছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ, গ্রামে ঢুকতে বাধা, মন্ত্রীর সামনেই মমতার দূতের গ্রামবাসীকে সপাটে চড় দেখতে পাচ্ছে আমবাঙালি। তবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদৌ এর কোনও বিরূপ প্রভাব পড়বে? তা কিন্তু লক্ষ টাকার প্রশ্ন।

পূর্ব মেদিনীপুরে দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে বাধা, বীরভূম জেলার দুই তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মালকে ঘিরে বিক্ষোভ। এই জেলাতেই দলের তরুণতুর্কী নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে গ্রামে ঢুকতে বাধা, উত্তর ২৪ পরগনায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই রাস্তা সারানোর দাবি তোলায় গ্রামবাসীকে চড়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মসূচি ঘিরে একাধিক অস্বস্তিকর ঘটনায় চরম বিভ্রান্তিতে ঘাসফুল শিবির। একদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতিতে প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক ব্যক্তি জেলবন্দি, গরুপাচার কাণ্ডে প্রতাপশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার। কয়লাপাচার নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে। আবাস যোজনায় ভুরি ভুরি তৃণমূল নেতা-নেত্রীর ধনসম্পদ থাকা সত্বেও তালিকায় নাম। নানা ইস্যুতে জেরবারের পর দিদির দূতরা গ্রামে যেতেই নয়া সমস্যা।

আরো পড়ুন- প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ফাঁসি দিল ইরান

লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর কাটমানি প্রসঙ্গে তুলেছিলেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি থেকে পঞ্চায়েতের অনেক কর্তাই গ্রাম ছাড়া হয়েছিলেন। কিন্তু হাতে সময় থাকায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই ক্ষোভ সামলে নেয় তৃণমূল। এবারও রাজ্যের নানা জ্বলন্ত ইস্যুর সময় দিদির দূতরা জনসংযোগ করতে গ্রামে যাচ্ছেন। ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকা সত্বেও কর্মসূচি জারি রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামবাসীদের প্রতিক্রিয়া যাচাই করে নিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের সময় হলে সমস্যা বাড়ত। এই ক্ষোভ কতটা নির্বাচনে পড়বে সেটা সব থেকে বড় বিষয়। বিরোধীরা চিৎকার জুড়লেও ভোটবাক্সে কোনও প্রতিক্রিয়া না হলে লাভের লাভের তাদের কিছু হবে না বলেই পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।

কাটমানির ইস্যুর ধাক্কা পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু সামলাননি, আগের দুবারের থেকে বেশি ভোটে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় বসেছেন। রাজনৈতিক মহল এবার দিদির দূতকে বিক্ষোভ ও কাটমানির সময়কালকে মিলিয়ে দেখছে। পঞ্চায়েত দখলে এই আগাম মানুষের মন বুঝে নেওয়াই তৃণমূল নেত্রীর বিশেষ রণকৌশল বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, ভোট ঘোষণার পর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সামলানো মুশকিল হত। পরিস্থিতি বুঝে নতুন ছক কষার সময় পেল ঘাসফুল শিবির। কাটমানির মতো এই ঝটকা সামলে নেওয়া সম্ভব কিনা সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। বিরোধীরা এই পরিস্থিতি কিভাবে কাজে লাগাবে সেটাও দেখার রয়েছে। তবে এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য-রাজনীতি পরিস্থিতি যথেষ্ট ঘোরালো হয়ে উঠেছে। শীঘ্রই ময়দানে নেমে হাল ধরতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নন্দীগ্রামের মাটিতে আর ওর ঠাঁই নেই, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে আক্রমণ জয়প্রকাশের

নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়ের পর বিরোধী দলনেতার কেন্দ্রে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। মঙ্গলবার নির্বাচনে জেতার ফলস্বরূপ ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভার আয়োজন করে TMC। এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনেই মুখ্যমন্ত্রীকে পরাস্ত করেছিলেন BJP বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আসলে সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে হাতিয়ার করেই BJP শক্তি বাড়িয়েছিল, এখন আর সেই পরিবেশ বা পরিস্থিতি নেই – ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভার মঞ্চ থেকে এমনটাই বার্তা তৃণমূল রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের (Jaiprakash Majumder)।

সমবায় নির্বাচনের ফলকে সামনে রেখেই রাজ্যের অন্যতম হটস্পট কেন্দ্রে বিরোধী দলনেতাকে কোণঠাসা করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। এদিনের মঞ্চ থেকে সেই বার্তাই উঠে আসে। জয়প্রকাশ এদিন বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) মাটিতে আর শুভেন্দু অধিকারীর ঠাঁই নেইনন্দীগ্রাম শুভেন্দু আক্রমণ ছায়া প্রকাশনী । ভেটুরিয়ায় সমবায়ের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ জয়ের নিরিখে এবার নন্দীগ্রাম থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।”

আরো পড়ুন- অসুস্থ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা, ভর্তি করানো হল আমেদাবাদের হাসপাতালে

প্রসঙ্গত, ভেটুরিয়ায় সমবায় নির্বাচনের সকাল থেকেই দফায় দফায় অশান্তি লেগে ছিল এলাকায়। দুই দলই একে ওপরের বিরুদ্ধে বহিরাগত লোক ঢোকানোর অভিযোগ তোলে। সেই অশান্তির প্রসঙ্গ টেনেই এদিন জয়প্রকাশ বলেন, “সাম্প্রদায়িক বিভাজন এনে রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরির কৌশল নিয়েছেন শুভেন্দু। কথায় কথায় শাসানি, সন্ত্রাসের হুমকি দিয়ে চলেছেন। সাধারণ মানুষ আর ওকে ভয় পায় না। ভেটুরিয়া সমবায় ভোটে বহিরাগত দুষ্কৃতী ঢুকিয়ে বোমাবাজি, গুলি চালাবার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বোমার রাজা, লোডশেডিংয়ের রাজা শুভেন্দু।”

এদিন সভায় দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষকান্তি ভূঁইয়া, সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভেটুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ১২ টি আসনের মধ্যে ১২ টিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর বিধানসভা। সেই বিধানসভায় সমবায় নির্বাচনে খাতা খুলতে না পারায় কটাক্ষও শোনা যায় তৃণমূল নেতৃত্বদের মুখ থেকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ক্ষমতা যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা সমবায় নির্বাচনে জয় হোক অথবা BJP থেকে তৃণমূলে যোগদান হোক, তা প্রমাণিত বলেই দাবি তৃণমূল জেলা নেতৃত্বদের।

তবে স্থানীয় BJP নেতৃত্বের বক্তব্য, সমবায় নির্বাচনে তো সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে না। তাই সেটাকে নিয়েই তৃণমূলের এই উল্লাস স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেই দৃষ্টিকটু।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections) এই এলাকা থেকে জনসাধারণের সমর্থন বিজেপির সঙ্গে থাকবে বলে দাবি তাঁদের।