কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে বিজেপি বিধায়ক

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে হাজির গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে বকেয়া আদায় করুক রাজ্য, পরামর্শ বিজেপি বিধায়কের।

এদিন দুপুুর দুটো নাগাদ তৃনমুলের ধর্নামঞ্চের কাছে এসে দাঁড়ায় বিজেপি বিধায়কের গাড়ি। তাঁকে দেখে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। ধরনা মঞ্চে এসে বিজেপি বিধায়ক বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বসে ঠিক করুক কেন বাংলার মানুষ টাকা পাচ্ছেন না। দায়িত্ব দুই সরকারে। আমাদের বিধায়কদের নয়।

আরো পড়ুন- চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩, গন্তব্যে পৌঁছাতে আর ক’টি ধাপ বাকি

রবিবার গঙ্গারামপুরে বিজেপি বিধায়ক সত্যেন রায়ের বাড়ি থেকে দুশো মিটার দূরে বাতাসপুরি মোড়ে তৃণমূলের ধরনা চলছে। সেই ধরনা মঞ্চের পাশ দিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন সত্যেন রায়। তিনি যখন ওই ধরনা মঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে দেখে জয় বাংলা স্লোগান ওঠে। সেইসময় গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন সত্যেনবাবু। এরপর তিনি সোজা মঞ্চে উঠে যান। মাইক নিয়ে তৃণমূলের বহু বক্তব্য সমর্থন করেন, কিছু বক্তব্যের বিরোধিতাও করেন। বলেন, কিছু কিছু জায়গায় কেন্দ্রের বঞ্চনা রয়েছে। সেখানে বিধায়কদের কিছু করার নেই।

জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকারের দাবি, তৃণমূলের বক্তব্য মেনে নিয়েছেন সত্যেন রায়। তবে এনিয়ে বিজেপির কোনও জেলা নেতৃত্ব কোন মন্তব্য করেনি।

৩৫ বছর পর ব্রিগেড! SUCI এর নিশানায় CPIM

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিবদাস ঘোষের শতবর্ষ পালনের সমাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে দীর্ঘ ৩৫ বছর পরে কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন করেছিল SUCI । আর সেই ব্রিগেড সমাবেশ থেকে সিপিএম ও অন্য বামন্থীদের নিশানা করল SUCI । প্রশ্ন তুলল জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী জোটে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএমের একসঙ্গে থাকা নিয়ে। শনিবার সমাবেশ ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোই। দেশের ২৫টি রাজ্য থেকে ট্রেনে ও বাসে সমর্থকেরা এসেছিলেন সমাবেশে যোগ দিতে। বক্তৃতা চলাকালীন লম্বা সময় তাঁরা সুশৃঙ্খল ভাবে ময়দানে বসে ছিলেন।

দীর্ঘ বক্তৃতায় এসইউসি-র বর্ষীয়ান সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ এ দিন বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, সিপিএম বা পুরনো সিপিআই মার্ক্সবাদী আদর্শের ভিত্তিতে গঠিত দল নয়, তাদের কোনও চিন্তা-নায়ক নেই। ক্ষমতার রাজনীতি না করেও এসইউসি-র সেই ‘প্রকৃত সম্পদ’ আছে বলে তাঁর দাবি। তাঁর মন্তব্য, যে সব দল এক সময়ে এসইউসি সম্পর্কে ‘বক্রোক্তি’ করেছিল, তাদের অনেকেই এখন নিশ্চিহ্ন।

প্রভাসবাবু বলেছেন, ‘‘বাংলা, ত্রিপুরা ও কেরলে সিপিএম দীর্ঘ সময় সরকার চালিয়েছে। এই রাজ্যে ৩৪ বছর একটানা সরকারে থেকেও সেই দলের এখন কী অবস্থা? কংগ্রেসের সঙ্গে তারা জোট করেছে। এক জন পীরকে ধর্মনিরপেক্ষ বানানো হয়েছে। আবার এখন জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী একটা জোট হয়েছে, যেখানে সিপিএম আছে, তৃণমূলও আছে। রাজ্যে তারা পরস্পরের সঙ্গে লড়ছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘এসইউসি কিন্তু মাথা নত করেননি। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে!’’

আরো পড়ুন- ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিনের বিস্তীর্ণ এলাকা, আহত অন্তত ১০

ব্রিগেড সমাবেশ থেকে প্রভাস ঘোষ বলেছেন “আমরা বিবেক বিক্রি করিনি। আমাকে কেনা যায়নি। না খেয়ে দিনের পর দিন থেকেছি।” ভাষণে এসইউসি সাধারণ সম্পাদক বারবার অন্যান্য বাম দলগুলিকে নিশানা করলেও রাজ্য সরকারে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে ততটা আক্রমণাত্মক হলেন না।

বারবার সিপিআইএমকে নিশানা আর তৃণমূল সম্পর্কে ‘নরম’ কেন এসইউসিআই? এই বিতর্কে উঠে আসছে তৃণমূলের সাথে এসইউসি জোটের পুরনো প্রসঙ্গ। এই জোট করেই ২০০৯ সালে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ পেয়েছিল এসইউসি। পরে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে প্রথম নামে দলটির ছাত্র যুব সংগঠন। পরে তাদের মদত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

শনিবার SUCI দলের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ চর্চা চলেছে। কারণ এই দলটি গত যুক্তফ্রন্ট সরকারের শরিক ছিল। পরে টানা সাড়ে তিন দশকের বামফ্রন্ট জমামায় লাগাতার সরকার বিরোধী আন্দোলন করে নিজেদের দুটি বিধানসভা আসন ধরে রেখেছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ও জয়নগর দুটি কেন্দ্র ছিল এসইউসিআইয়ের ঘাঁটি। এর বাইরে আর না বাড়লেও দেশজুড়ে সংগঠন আছে। রাজ্যে রাজনৈতিক মহলে এসইউসিআই ‘কুলতলি জয়নগরের পার্টি’ বলেও একসময় কটাক্ষের শিকার হতো। বাম জমানায় ১৯৮৮ সালে প্রথম ব্রিগেড মিটিং। আর ২০২৩ সালে হলো দ্বিতীয় ব্রিগেড।

CBI Raid: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফিরহাদ হাকিমের দফতরে CBI হানা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফিরহাদ হাকিমের দফতরে CBI হানা! সল্টলেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ‘পুরোটাই রাজনীতি’, অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, বুধবার একযোগে রাজ্যের মোট ১৪টি পুরসভায় পৌঁছন সিবিআই-এর একদল আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ‘রাজনীতির’ গন্ধ পান ফিরহাদ। তিনি জানেন না কী উদ্দেশ্যে এ দিনের হানা। তবে ত্রাস তৈরির চেষ্টা চলছে বলে কটাক্ষ করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী।

পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। বেরনোর সময় ওই দফতরের দু’জন কর্মচারীকে গাড়িতে তুলে ডিডি ব্লকে নিয়ে যান।

বুধবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় একযোগে তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতা থেকে জেলা, পুর ও নগরোয়ন্নয় দফতরের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক পুরসভায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া, দক্ষিণ দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দমদম, পানিহাটি, কামারহাটি, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, শান্তিপুর-সহ ১৮টি পুরসভায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, মূলত নথি উদ্ধারের জন্যই রাজ্যের এই পুরসভাগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। এদিন কলকাতার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ১০০ জন সিবিআই অফিসারের ১৬টি দল তল্লাশি অভিযান চালানোর জন্য বের হয়। পুরসভাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন গোয়েন্দারা, সিবিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, পুরসভায় অভিযান চালানোর পাশাপাশি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের সংস্থার নামে থাকা এবিএস ইনফোজোনের অফিসেও তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি অয়নের চুঁচুড়ার পৈতৃক বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল। সেখানে অয়নের মা-বাবার সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিভিন্ন পদে, তা সে মজদুর, ক্লার্ক, ঝাড়ুদার, ড্রাইভার থেকে শুরু করে সব পদেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ড অব কাউন্সিলরদের মিটিংয়ে প্রস্তাব পেশ করে তা পাশ করতে হয়। সেক্ষেত্রে পাশ হওয়া রেজিলিউশনে কোন কোন কাউন্সিলরের সই রয়েছে, সেই তথ্যও সংগ্রহ করবে সিবিআই।

উল্লেখ্য, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এফআইর দায়ের করেছিল। সিবিআই সূত্রে দাবি, মোটা টাকার বিনিময়ে মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই নিয়োগ দুর্নীতির পিছনে প্রভাবশালীদের একাংশের হাত রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার তদন্তে সেই সংক্রান্ত প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূ্র্ণ তথ্য পাওয়া যায়। সম্প্রতি ইডির পক্ষ থেকেও রাজ্যের সব পুরসভাগুলির থেকে ২০১৪ সালের পর থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। এদিকে, সিবিআইয়ের অভিযান নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযানে নেমেছে সিবিআই। এখন কোনও প্রভাবশালীর নাম তদন্তে উঠে আসে কি না, সেটাই দেখার।

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বেতনা নদীর ওপরেই অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বেতনা নদীর উপর ইট বালি সিমেন্ট দিয়ে অবৈধ নির্মানের অভিযোগ। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, গরু চুরির পর এবার কার্যত নদী চুরি হচ্ছে। প্রশাসনের দারস্থ হয়েও কোনো সূরাহা মিলেনি। এমনকি চলতি মাসের শুরুতে বিডিও অফিসে জানালে, পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করলেও ফের কাজ শুরু হয়। অভিযোগ নেপথ্যে রয়েছে মোটা টাকার খেলা।

একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাগদা থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য পরিতোষ সাহা। তিনি বলেন, ‘‘নদী দখল করে বেআইনি নির্মাণের খবর পাওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন এবং ব্লক ভূমি দফতরকে একাধিকবার জানিয়েছিলাম। নিজে গিয়ে তো আর নির্মাণ ভাঙতে পারি না। পুলিশ প্রশাসন কী করছে জানি না।’’

ব্লক ভূমি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে গোপন রিপোর্ট বিডিও-র কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিডিও সৌমেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ভূমি দফতরের তদন্ত-রিপোর্ট মহকুমাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনিই পদক্ষেপ করবেন।’’

আরো পড়ুন- প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

সংস্কারের অভাবে বেতনা দীর্ঘদিন মৃতপ্রায়। কচুরিপানায় ভরা। বাগদা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ওই নদীর জমি দখল করে নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে গত ৩০ এপ্রিল সকালে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছিল, যাঁরা নির্মাণকাজ করছেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। এর পরে ব্লক ভূমি দফতর থেকেও কর্মীরা গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পরে ফের শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কয়েকজনের দাবি, শুধু অস্থায়ী নির্মাণই নয়, স্থায়ী নির্মাণও হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে ব্লক অফিসের দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ মিটার। প্রশাসনের নাকের ডগায় নদী জবরদখল হয়ে যাচ্ছে দেখেও কর্তাদের হুঁশ ফিরছে না বলে তাঁদের অভিযোগ।

যাঁরা ওই সব নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ‘‘বেতনা নদীর জমিতে প্রায় ৫০টি দোকান তৈরি হয়ে গিয়েছে। পুলিস ও ভূমি দফতরের নির্দেশমতো আমিও কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। অন্যদের দেখাদেখি আবার শুরু করেছি। পুলিশ প্রশাসন মনে করলে ভেঙে দিতে পারে।’’

তবে, শুধু ওই বাজার এলাকাতেই নয়, ব্লকের নানা জায়গায় নদীকে রুদ্ধ করা হয়েছে। কোথাও মাটির বাঁধ দেওয়া হয়েছে, কোথাও নদীর জমি কেটে ছোট ছোট জলাশয় তৈরি করে মাছ চাষ করা হচ্ছে, এমনকি, নদীর মাটিও কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

একসময়ে বাগদা ব্লকের একাংশ এবং বাগদা বাজার এলাকার বর্ষার জল নিকাশির প্রধান মাধ্যম ছিল বেতনা। কিন্তু এখন নদী মৃতপ্রায় হওয়ায় জমা জল সেখানে প্রায় নামেই না। তার উপর নদী দখল হয়ে যাচ্ছে দেখে আপত্তি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, কয়েক বছর আগেও নদী দখল করে বেআইনি নির্মাণের চেষ্টা হয়েছিল। তখন তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য ওই কাজ বন্ধ করে দেন।

গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, এলাকার একমাত্র জল নিকাশি ব্যবস্থা এই বেতনা নদী। এ ভাবে বিনা বাধায় নদীর জমি দখল চলতে থাকলে বর্ষার সময় জল নিকাশি ব্যবস্থা পুরো ভেঙ্গে পড়বে।

প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujayKrishna Bhadra Arrested)। ইডি সূত্রে খবর, তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসে কাজ করা এই কর্মচারীকে।

আরো পড়ুন- বড় খবর! রাজ্যে নতুন শূন্য পদে ১ লাখ ২৫ হাজার নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩০ মে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা বলেন গোপাল দলপতি। যদিও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কোনওভাবেই কোনও দর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না বলে মত তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্রের। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam Case) গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujayKrishna Bhadra) । প্রসঙ্গত, গত ২১ মে সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি-অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে ১১টি মোবাইল ফোন, একাধিক পেন ড্রাইভ সহ বেশ কয়েকটি হার্ডডিস্ক। প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে ইডি কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে সুজয় ভদ্রের বাড়ির থেকে বেরিয়ে যায়।

সুত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সঙ্গেও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও জামাইয়ের জন্য জমি কিনতে টাকা দিয়েছিলেন শান্তনুর স্ত্রীকে। এমনটাই দাবি করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। শেষ পর্যন্ত তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

TET Scam: প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে নজরে এবার ২০১৬! ৪২ হাজর ৫০০ প্রার্থীর তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (TET Scam) নিয়ে দুটি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে চলে গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন আরও মামলা কাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবুও তিনি উদ্যম হারালেন না। সক্রিয় হয়েই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬-য় নিযুক্ত ৪২ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তথ্য তলব করলেন।

প্রাথমিকে নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে থাকে আধিকারিদের তলব করে নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়।

তাতেই প্রকাশ হয়ে হিয়েছে প্রার্থীদের কোনো অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়ে গড় নম্বর বসানো হয়েছে। ফলে ফের নিয়োগ বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

আরো পড়ুন – SSC Scam: ২৬ জনকে চাকরি দিতে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা তুলেছিল শান্তনু, বিস্ফোরক দাবি ইডির

এবার তিনি প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে নিযুক্ত ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষকের বিস্তারিত রিপোর্ট পর্ষদের কাছে চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট আকারে এই তথ্য পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বুধবারই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই।

সেই রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই দুর্নীতি হয়েছে। তারপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আবার নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৬ সালের ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে প্রাথমিকে নিযুক্ত শিক্ষকদের বিস্তারিক রিপোর্টে পাঠাতে হবে পর্ষদকে। ওই ইন্টারভিউয়ের বিত্তিতে ৪২ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়েছিল।

প্রাথমিক নিয়োগ হওয়া ৪২ হাজার ৫০০ প্রার্থীর প্রত্যেকের নাম, জেলা, জাতি ও শ্রেণি জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। এ জন্য পর্ষদকে ২ সপ্তাহ সময়ে দিয়েছেন বিচারপতি। তার মধ্যেই বিস্তারিত তথ্য চাই তাঁর। কেননা এই নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে, এই দুর্নীতি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। ওই নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের ধরন দেখেই স্পষ্ট হয়েছে দুর্নীতির জাল সেথানেই বিছনো ছিল। এখনও মানিক ভট্টাচার্য এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। তবে খুবহ শীঘ্রউ স্পষ্ট হয়ে যাবে সব।

এদিনই সিবিআই আবার প্রশ্ন তুলেছে, দু-দফায় মানিক ভট্টাচার্যের মেয়াদবৃদ্ধির পিছনে কী কারণ রয়েছে, তাও জানা দরকার। সেজন্য দরকার তদন্ত হওয়ার। এই মর্মে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এখন দেখার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতের নতুন কোনো ক্লু সামনে আসে কি না।

রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে শিক্ষা জগতের কর্তাদের মুখোশ খুলে গিয়েছিল বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে। সেই নিয়োগ দুর্নীতির দুটি মামলা থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরও অকুতোভয় তিনি।

তারপরও বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক নন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সাক্ষাত্‍কার সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তাঁর লড়াই চলবে। তিনি জানান, লড়াইয়ে যখন নেমেছি, শেষপর্যন্ত লড়ব।

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেরা বাংলা! স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র

বাংলার মুকুটে নয়া পালক। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেরা পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন নিগম। ‘রাজ্যের জন্য খুবই গর্বের বিষয়’, টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

দেশে যতগুলি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা রয়েছে, তার মধ্যে সেরার তকমা পেল ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে প্রতি বছরই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবার সেই তালিকায় সেরার শিরোপা পেল এল রাজ্যে।

আরো পড়ুন- “বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কুটনীতিবিদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং হনুমানজী”- জয়শঙ্কর! মহাভারত ও বর্তমান সময়ের বিশ্বরাজনীতির মধ্যে মিল

দেশের মধ্যে সেরার তালিকায় রাজ্য বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন নিগমের তিনটি তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্র। তালিকায় শীর্ষে বক্রেশ্বর।

দ্বিতীয় স্থানে পুরুলিয়া সাঁওতালডিহি, আর পঞ্চম স্থানে সাগরদিঘি। কীভাবে? কেন্দ্রীয় বিদ্যুত্‍ মন্ত্রকের অধীনস্থ সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি জানিয়েছে, হাই প্ল্যান্ট লোড ফ্যাক্টরের ক্ষেত্রে এই র‍্যাঙ্কিং করা হয়ে থাকে। তার বিচারেই রাজ্য বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন নিগমের তিনটি তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্র সেরার তালিকায় উঠে এসেছে।

এর আগে, মার্চে সর্বভারতীর স্তরে পুরস্কৃত হয়েছিল রাজ্যের ৪টি ই-গর্ভনেন্স পরিষেবা। সেবার টুইট ওই ৮ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মিড ডে মিলের খিচুড়িতে পাওয়া গেল আস্ত সাপ! চাঞ্চল্য নদিয়ায়

মিড ডে মিলের খিচুড়িতে পাওয়া গেল আস্ত সাপ! ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাপড়া থানার আলফা গ্রাম পঞ্চায়েতের দমপুকুরের ৬০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

মিড ডে মিলের খাবারে টিকটিকি, আরশোলা, ইঁদুরের পর এ বার মিলল আস্ত সাপ! শিশুদের রান্না করা খাবারে শনিবার আস্ত সাপ মেলায় উদ্বেগে অভিভাবকরা। কারণ, সেই খাবার খেয়েও ফেলেছে অনেক পড়ুয়াই। শনিবার

অঙ্গনওয়াড়ির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শাহানারা খাতুন বলেন, ‘‘রোজের মতো শনিবারও খাবার নিয়ে গিয়েছে বাচ্চারা। পরে এক অভিভাবক অভিযোগ জানান, তাঁর খাবারে আস্ত সাপ মিলেছে!’’ খিচুড়িতে সাপ পাওয়ার জন্য পরিকাঠামোকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই রান্না করতে হয়। তাই সাপ মেলার ঘটনায় আশ্চর্যের কিছু নেই।

আরো পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাঁকুড়া! বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ

শনিবারও বাচ্চার জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন রঙ্গিলা বিবি। বাচ্চার খাবারে সাপ দেখে ভয় পেয়ে যান তিনি। বলেন, ‘‘অর্ধেক খাবার খাওয়ানোর পর সাপ দেখতে পাই। এ কথা বললেও দিদিমণিরা কেউ গুরুত্ব দেননি। ঠিকঠাক পরিষ্কার ভাবে রান্না হয় না। বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এর দায় কে নেবে?’’

ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খোঁজখবর নিতে শুরু করেন প্রশাসনিক কর্তারা। চাপড়া ব্লকের সিডিপিও বিপ্লব দাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও গাফিলতি থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হবে।’’

মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নার ৪৮ ঘণ্টা পরেই টাকা পাঠালো কেন্দ্র! কত জেনে নিন?

বকেয়া আদায়ের দাবিতে দু’দিন রেড রোডে বাবাসাহেব আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধর্না কর্মসূচি শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা মধ্যেই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেল রাজ্য। ১০০ দিনের কাজের অর্থ বন্ধ প্রায় দেড় বছর। এ ছাড়াও, আবাস, সড়ক যোজনা-সহ মোট ১০৬টি প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার, এমনটাই অভিযোগ রাজ্য সরকারের। পাল্টা বিজেপির জবাব, আগে পাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারি অর্থের হিসেব দিতে না পারাতেই বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনও রাজনীতি নেই। এমনই সংঘাতের আবহে একটি প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র।

আরো পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাঁকুড়া! বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ

এই বরাদ্দ এসেছে মিড ডে মিলের জন্য। বরাদ্দ হয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকা। যা রাজ্য সরকারের বকেয়ার দাবির কাছে অনেকটাই কম বলে মনে করছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য সরকারের পাওনার পরিমাণ এক লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের পাওনার মধ্যেই রয়েছে মিড ডে মিলের বিষয়টিও। নবান্নের একাংশ মনে করছে, গত জানুয়ারি মাসে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের এক প্রতিনিধিদল। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেই এ বার গত অর্থবর্ষের বকেয়া বরাদ্দ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থ পাঠালেও যে পশ্চিমবঙ্গের মিড ডে মিল পরিষেবা নিয়ে কেন্দ্রীয় নজরদারি চলবে, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ রাজ্যের মিড ডে মিল নিয়ে অডিট চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গত মার্চ মাসেই।

মিড ডে মিল নিয়ে বকেয়া বরাদ্দ পাঠালেও, অন্য ক্ষেত্রে বকেয়ার টাকা কবে পাওয়া যাবে তা নিয়ে কোনও সংবাদ নবান্নকে জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। এই খাতে রাজ্যের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। আবার আবাস যোজনায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকাও বকেয়া রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ বকেয়ার বিরুদ্ধেই মুখ্যমন্ত্রী বুধ এবং বৃহস্পতিবার রেড রোডে ধর্না দিয়েছেন। ধর্নার শেষের দিন তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাজধানী দিল্লিতে গিয়ে ধরনা দেওয়ার। আর সেই হুঁশিয়ারির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অল্প হলেও, রাজ্য পেল তার বকেয়া বরাদ্দের একাংশ।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাঁকুড়া! বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ

পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়া পাত্রসায়ের এলাকা বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপি নেতা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। এর পাশাপাশি ওই বিজেপি নেতার পরিবারের অন্যান্য সদস্য মারধর করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই শ্যামাপদ বাউরির বাড়িতে চড়াও হয়। এরপরেই তারা লাঠিসোটা, রড, কুড়ুল দিয়ে বিজেপি নেতাকে একের পর এক আক্রমণ করেন। বিজেপির ওই বুথ সভাপতিকে কুড়ুল দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপ মারার পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপক মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে প্রথমে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

আরো পড়ুন- মেয়েদের প্রচণ্ড শপিং করার প্রবনতা এক ধরনের মানসিক রোগ! অজানা মানসিক রোগের গল্প অবাক করবে সাধারণ মানুষকে

এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি বলেন, ‘বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তাপস বারির নেতৃত্বে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী শ্যামাপদ বাউরিকে মারধোর করেছে। ওই ঘটনা দেখলে শিউরে উঠতে হয়।’ এরপরই তিনি বহুচর্চিত বগটুই কাণ্ড ও লালন শেখের মৃত্যুর উদাহরণ টেনে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পাত্রসায়র এলাকায় যারা এই ধরণের দুষ্কর্ম করছেন তাঁদের পরিবারের লোকেরা এঁদের শোধরানোর ব্যবস্থা করুন। আর তা না করলে লালন শেখের পরিবারের লোকেদের মতো কান্নাকাটি করতে হবে।’ যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওরকমভাবেই যুক্ত নয় এমনটাই দাবি তৃণমূলের।

বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত দত্ত জানান, ‘এটা ব্যক্তিগত বিবাদ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে।’

ট্যাংকারের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু, রণক্ষেত্র পুরুলিয়া

পুরুলিয়াঃ ট্যাংকারের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল পুরুলিয়ার (Purulia) মফস্বল থানার চাষ রোড। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা পুরুলিয়া (Purulia) – রাঁচি ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH32) অবরোধ করে। অবরোধকারীদের দাবি, মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তির নাম মনীন্দ্র মাহাত (৪০)। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া মফস্বল থানার সিন্দরি গ্রামে।

মৃত মনীন্দ্র মাহাত এদিন সকালে তাঁর সাইকেল নিয়ে চাষ রোড সংলগ্ন বাজারে এসেছিলেন। পথ দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময়েই একটি ট্যাংকার বেপরোয়া গতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরেই ক্ষেপে ওঠে স্থানীয় জনতা। জাতীয় সড়ক (NH32) অবরোধ করা হয়। অবরোধের জেরে প্রচুর গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে জাতীয় সড়কে। ঘটনাস্থলে আসে পুরুলিয়ার মফস্বল থানার পুলিশ। আধঘন্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আরো পড়ুন- কংগ্রেসে ছেড়ে সিপিএমের সদস্য পদ নিন, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

মৃতের পরিবারের এক সদস্য প্রদীপ মাহাত বলেন, “মনীন্দ্র মাহাত সম্পর্কে আমার কাকা হন। আমাদের সব সময় কাজের জন্য এই বাজারে আসতে হয়, কাকাও সেই কাজে এসেছিলেন। কিন্তু তার পরিণতি যে এত ভয়াবহ হবে তা কোনোদিন ভাবিনি।” এরপরেই এলাকার ট্রাফিক (Traffic) ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু গাড়িগুলির গতি নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নেই। পরপর দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও পুলিশ প্রশাসনের কোনও হোলদোল নেই যান নিয়ন্ত্রন করার। একটার পর একটা দুর্ঘটনা ঘটে আর পুলিশ এসে শুধুই আশ্বাস দিয়ে চলে যায়।” এদিন পুলিশ আসার আধঘন্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় মানুষ দুর্ঘটনা রোধ করতে দুর্ঘটনাস্থলে স্পিড ব্রেকার (Speed Breaker) দেওয়ার দাবি করেছেন, কারণ এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে বলে তাঁদের অভিযোগ।

এক বাইকে ১০ জন! দুর্গাপুরে ছোটনের মোটরসাইকেল ঘিরে উৎসাহ

সাধারণ ভাবে একটি মোটরবাইকে (Motor Bike Model) সর্বাধিক দুজন বসতে পারেন, নিদেন পক্ষে তিনজন বসার দৃশ্যও অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু এই বাইকে একসঙ্গে বসেন পারেন ১০ জন ।

আরো পড়ুন- দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে বেজায় ধাক্কা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদৌ প্রভাব পড়বে?

কোথা থেকে এই অদ্ভুত আইডিয়া?

দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকার দুবচুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছোটন। পেশায় তিনি ফুল ব্যবসায়ী। সম্প্রতি সেই ছোটনই তৈরি করেছেন ‘বড় মোটর বাইক’। যাতে বসতে পারবেন অন্তত ১০ জন। নিজের তৈরি সেই মোটর সাইকেল দু’নম্বর জাতীয় সড়কে চালিয়ে সকলকে ইতিমধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওই বাইক চলে ব্যাটারিতে। তাঁর দাবি, এক বার চার্জ দিলে সেই মোটর বাইক চলবে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ। আর এমন যান দামেও সস্তা। ছোটনের বক্তব্য, ওই মোটর সাইকেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা।

ছোটনের বক্তব্য, ‘‘আমরা সব বন্ধু মিলে একসঙ্গে ঘুরতে যাব। এমন একটা মোটর বাইক তৈরি করার ইচ্ছা আমার বরাবর ছিল। তখনই এমন বাইক তৈরির কথা আমার মাথায় আসে। সকলের সাহায্যে আমি তৈরি করেছি ওটা।’’ বাইকে রয়েছে ছোট সাউন্ডবক্স, যা মোবাইলের ব্লু টুথ কানেকশনের সঙ্গে জুড়লে বাজবে গানও।