প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujayKrishna Bhadra Arrested)। ইডি সূত্রে খবর, তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসে কাজ করা এই কর্মচারীকে।

আরো পড়ুন- বড় খবর! রাজ্যে নতুন শূন্য পদে ১ লাখ ২৫ হাজার নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩০ মে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা বলেন গোপাল দলপতি। যদিও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কোনওভাবেই কোনও দর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না বলে মত তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্রের। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam Case) গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujayKrishna Bhadra) । প্রসঙ্গত, গত ২১ মে সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি-অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে ১১টি মোবাইল ফোন, একাধিক পেন ড্রাইভ সহ বেশ কয়েকটি হার্ডডিস্ক। প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে ইডি কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে সুজয় ভদ্রের বাড়ির থেকে বেরিয়ে যায়।

সুত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সঙ্গেও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও জামাইয়ের জন্য জমি কিনতে টাকা দিয়েছিলেন শান্তনুর স্ত্রীকে। এমনটাই দাবি করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। শেষ পর্যন্ত তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

TET Scam: প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে নজরে এবার ২০১৬! ৪২ হাজর ৫০০ প্রার্থীর তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (TET Scam) নিয়ে দুটি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে চলে গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন আরও মামলা কাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবুও তিনি উদ্যম হারালেন না। সক্রিয় হয়েই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬-য় নিযুক্ত ৪২ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তথ্য তলব করলেন।

প্রাথমিকে নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে থাকে আধিকারিদের তলব করে নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়।

তাতেই প্রকাশ হয়ে হিয়েছে প্রার্থীদের কোনো অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়ে গড় নম্বর বসানো হয়েছে। ফলে ফের নিয়োগ বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

আরো পড়ুন – SSC Scam: ২৬ জনকে চাকরি দিতে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা তুলেছিল শান্তনু, বিস্ফোরক দাবি ইডির

এবার তিনি প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে নিযুক্ত ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষকের বিস্তারিত রিপোর্ট পর্ষদের কাছে চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট আকারে এই তথ্য পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বুধবারই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই।

সেই রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই দুর্নীতি হয়েছে। তারপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আবার নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৬ সালের ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে প্রাথমিকে নিযুক্ত শিক্ষকদের বিস্তারিক রিপোর্টে পাঠাতে হবে পর্ষদকে। ওই ইন্টারভিউয়ের বিত্তিতে ৪২ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়েছিল।

প্রাথমিক নিয়োগ হওয়া ৪২ হাজার ৫০০ প্রার্থীর প্রত্যেকের নাম, জেলা, জাতি ও শ্রেণি জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। এ জন্য পর্ষদকে ২ সপ্তাহ সময়ে দিয়েছেন বিচারপতি। তার মধ্যেই বিস্তারিত তথ্য চাই তাঁর। কেননা এই নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে, এই দুর্নীতি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। ওই নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের ধরন দেখেই স্পষ্ট হয়েছে দুর্নীতির জাল সেথানেই বিছনো ছিল। এখনও মানিক ভট্টাচার্য এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। তবে খুবহ শীঘ্রউ স্পষ্ট হয়ে যাবে সব।

এদিনই সিবিআই আবার প্রশ্ন তুলেছে, দু-দফায় মানিক ভট্টাচার্যের মেয়াদবৃদ্ধির পিছনে কী কারণ রয়েছে, তাও জানা দরকার। সেজন্য দরকার তদন্ত হওয়ার। এই মর্মে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এখন দেখার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতের নতুন কোনো ক্লু সামনে আসে কি না।

রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে শিক্ষা জগতের কর্তাদের মুখোশ খুলে গিয়েছিল বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে। সেই নিয়োগ দুর্নীতির দুটি মামলা থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরও অকুতোভয় তিনি।

তারপরও বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক নন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সাক্ষাত্‍কার সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তাঁর লড়াই চলবে। তিনি জানান, লড়াইয়ে যখন নেমেছি, শেষপর্যন্ত লড়ব।

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেরা বাংলা! স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র

বাংলার মুকুটে নয়া পালক। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেরা পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন নিগম। ‘রাজ্যের জন্য খুবই গর্বের বিষয়’, টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

দেশে যতগুলি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা রয়েছে, তার মধ্যে সেরার তকমা পেল ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে প্রতি বছরই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবার সেই তালিকায় সেরার শিরোপা পেল এল রাজ্যে।

আরো পড়ুন- “বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কুটনীতিবিদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং হনুমানজী”- জয়শঙ্কর! মহাভারত ও বর্তমান সময়ের বিশ্বরাজনীতির মধ্যে মিল

দেশের মধ্যে সেরার তালিকায় রাজ্য বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন নিগমের তিনটি তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্র। তালিকায় শীর্ষে বক্রেশ্বর।

দ্বিতীয় স্থানে পুরুলিয়া সাঁওতালডিহি, আর পঞ্চম স্থানে সাগরদিঘি। কীভাবে? কেন্দ্রীয় বিদ্যুত্‍ মন্ত্রকের অধীনস্থ সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি জানিয়েছে, হাই প্ল্যান্ট লোড ফ্যাক্টরের ক্ষেত্রে এই র‍্যাঙ্কিং করা হয়ে থাকে। তার বিচারেই রাজ্য বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন নিগমের তিনটি তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্র সেরার তালিকায় উঠে এসেছে।

এর আগে, মার্চে সর্বভারতীর স্তরে পুরস্কৃত হয়েছিল রাজ্যের ৪টি ই-গর্ভনেন্স পরিষেবা। সেবার টুইট ওই ৮ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মিড ডে মিলের খিচুড়িতে পাওয়া গেল আস্ত সাপ! চাঞ্চল্য নদিয়ায়

মিড ডে মিলের খিচুড়িতে পাওয়া গেল আস্ত সাপ! ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাপড়া থানার আলফা গ্রাম পঞ্চায়েতের দমপুকুরের ৬০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

মিড ডে মিলের খাবারে টিকটিকি, আরশোলা, ইঁদুরের পর এ বার মিলল আস্ত সাপ! শিশুদের রান্না করা খাবারে শনিবার আস্ত সাপ মেলায় উদ্বেগে অভিভাবকরা। কারণ, সেই খাবার খেয়েও ফেলেছে অনেক পড়ুয়াই। শনিবার

অঙ্গনওয়াড়ির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শাহানারা খাতুন বলেন, ‘‘রোজের মতো শনিবারও খাবার নিয়ে গিয়েছে বাচ্চারা। পরে এক অভিভাবক অভিযোগ জানান, তাঁর খাবারে আস্ত সাপ মিলেছে!’’ খিচুড়িতে সাপ পাওয়ার জন্য পরিকাঠামোকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই রান্না করতে হয়। তাই সাপ মেলার ঘটনায় আশ্চর্যের কিছু নেই।

আরো পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাঁকুড়া! বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ

শনিবারও বাচ্চার জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন রঙ্গিলা বিবি। বাচ্চার খাবারে সাপ দেখে ভয় পেয়ে যান তিনি। বলেন, ‘‘অর্ধেক খাবার খাওয়ানোর পর সাপ দেখতে পাই। এ কথা বললেও দিদিমণিরা কেউ গুরুত্ব দেননি। ঠিকঠাক পরিষ্কার ভাবে রান্না হয় না। বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এর দায় কে নেবে?’’

ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খোঁজখবর নিতে শুরু করেন প্রশাসনিক কর্তারা। চাপড়া ব্লকের সিডিপিও বিপ্লব দাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও গাফিলতি থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হবে।’’

মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নার ৪৮ ঘণ্টা পরেই টাকা পাঠালো কেন্দ্র! কত জেনে নিন?

বকেয়া আদায়ের দাবিতে দু’দিন রেড রোডে বাবাসাহেব আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধর্না কর্মসূচি শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা মধ্যেই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেল রাজ্য। ১০০ দিনের কাজের অর্থ বন্ধ প্রায় দেড় বছর। এ ছাড়াও, আবাস, সড়ক যোজনা-সহ মোট ১০৬টি প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার, এমনটাই অভিযোগ রাজ্য সরকারের। পাল্টা বিজেপির জবাব, আগে পাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারি অর্থের হিসেব দিতে না পারাতেই বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনও রাজনীতি নেই। এমনই সংঘাতের আবহে একটি প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র।

আরো পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাঁকুড়া! বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ

এই বরাদ্দ এসেছে মিড ডে মিলের জন্য। বরাদ্দ হয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকা। যা রাজ্য সরকারের বকেয়ার দাবির কাছে অনেকটাই কম বলে মনে করছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য সরকারের পাওনার পরিমাণ এক লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের পাওনার মধ্যেই রয়েছে মিড ডে মিলের বিষয়টিও। নবান্নের একাংশ মনে করছে, গত জানুয়ারি মাসে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের এক প্রতিনিধিদল। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেই এ বার গত অর্থবর্ষের বকেয়া বরাদ্দ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থ পাঠালেও যে পশ্চিমবঙ্গের মিড ডে মিল পরিষেবা নিয়ে কেন্দ্রীয় নজরদারি চলবে, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ রাজ্যের মিড ডে মিল নিয়ে অডিট চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গত মার্চ মাসেই।

মিড ডে মিল নিয়ে বকেয়া বরাদ্দ পাঠালেও, অন্য ক্ষেত্রে বকেয়ার টাকা কবে পাওয়া যাবে তা নিয়ে কোনও সংবাদ নবান্নকে জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। এই খাতে রাজ্যের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। আবার আবাস যোজনায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকাও বকেয়া রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ বকেয়ার বিরুদ্ধেই মুখ্যমন্ত্রী বুধ এবং বৃহস্পতিবার রেড রোডে ধর্না দিয়েছেন। ধর্নার শেষের দিন তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাজধানী দিল্লিতে গিয়ে ধরনা দেওয়ার। আর সেই হুঁশিয়ারির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অল্প হলেও, রাজ্য পেল তার বকেয়া বরাদ্দের একাংশ।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাঁকুড়া! বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ

পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়া পাত্রসায়ের এলাকা বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপি নেতা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। এর পাশাপাশি ওই বিজেপি নেতার পরিবারের অন্যান্য সদস্য মারধর করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই শ্যামাপদ বাউরির বাড়িতে চড়াও হয়। এরপরেই তারা লাঠিসোটা, রড, কুড়ুল দিয়ে বিজেপি নেতাকে একের পর এক আক্রমণ করেন। বিজেপির ওই বুথ সভাপতিকে কুড়ুল দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপ মারার পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপক মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে প্রথমে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

আরো পড়ুন- মেয়েদের প্রচণ্ড শপিং করার প্রবনতা এক ধরনের মানসিক রোগ! অজানা মানসিক রোগের গল্প অবাক করবে সাধারণ মানুষকে

এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি বলেন, ‘বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তাপস বারির নেতৃত্বে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী শ্যামাপদ বাউরিকে মারধোর করেছে। ওই ঘটনা দেখলে শিউরে উঠতে হয়।’ এরপরই তিনি বহুচর্চিত বগটুই কাণ্ড ও লালন শেখের মৃত্যুর উদাহরণ টেনে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পাত্রসায়র এলাকায় যারা এই ধরণের দুষ্কর্ম করছেন তাঁদের পরিবারের লোকেরা এঁদের শোধরানোর ব্যবস্থা করুন। আর তা না করলে লালন শেখের পরিবারের লোকেদের মতো কান্নাকাটি করতে হবে।’ যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওরকমভাবেই যুক্ত নয় এমনটাই দাবি তৃণমূলের।

বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত দত্ত জানান, ‘এটা ব্যক্তিগত বিবাদ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে।’

ট্যাংকারের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু, রণক্ষেত্র পুরুলিয়া

পুরুলিয়াঃ ট্যাংকারের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল পুরুলিয়ার (Purulia) মফস্বল থানার চাষ রোড। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা পুরুলিয়া (Purulia) – রাঁচি ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH32) অবরোধ করে। অবরোধকারীদের দাবি, মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তির নাম মনীন্দ্র মাহাত (৪০)। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া মফস্বল থানার সিন্দরি গ্রামে।

মৃত মনীন্দ্র মাহাত এদিন সকালে তাঁর সাইকেল নিয়ে চাষ রোড সংলগ্ন বাজারে এসেছিলেন। পথ দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময়েই একটি ট্যাংকার বেপরোয়া গতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরেই ক্ষেপে ওঠে স্থানীয় জনতা। জাতীয় সড়ক (NH32) অবরোধ করা হয়। অবরোধের জেরে প্রচুর গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে জাতীয় সড়কে। ঘটনাস্থলে আসে পুরুলিয়ার মফস্বল থানার পুলিশ। আধঘন্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আরো পড়ুন- কংগ্রেসে ছেড়ে সিপিএমের সদস্য পদ নিন, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

মৃতের পরিবারের এক সদস্য প্রদীপ মাহাত বলেন, “মনীন্দ্র মাহাত সম্পর্কে আমার কাকা হন। আমাদের সব সময় কাজের জন্য এই বাজারে আসতে হয়, কাকাও সেই কাজে এসেছিলেন। কিন্তু তার পরিণতি যে এত ভয়াবহ হবে তা কোনোদিন ভাবিনি।” এরপরেই এলাকার ট্রাফিক (Traffic) ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু গাড়িগুলির গতি নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নেই। পরপর দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও পুলিশ প্রশাসনের কোনও হোলদোল নেই যান নিয়ন্ত্রন করার। একটার পর একটা দুর্ঘটনা ঘটে আর পুলিশ এসে শুধুই আশ্বাস দিয়ে চলে যায়।” এদিন পুলিশ আসার আধঘন্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় মানুষ দুর্ঘটনা রোধ করতে দুর্ঘটনাস্থলে স্পিড ব্রেকার (Speed Breaker) দেওয়ার দাবি করেছেন, কারণ এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে বলে তাঁদের অভিযোগ।

এক বাইকে ১০ জন! দুর্গাপুরে ছোটনের মোটরসাইকেল ঘিরে উৎসাহ

সাধারণ ভাবে একটি মোটরবাইকে (Motor Bike Model) সর্বাধিক দুজন বসতে পারেন, নিদেন পক্ষে তিনজন বসার দৃশ্যও অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু এই বাইকে একসঙ্গে বসেন পারেন ১০ জন ।

আরো পড়ুন- দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে বেজায় ধাক্কা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদৌ প্রভাব পড়বে?

কোথা থেকে এই অদ্ভুত আইডিয়া?

দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকার দুবচুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছোটন। পেশায় তিনি ফুল ব্যবসায়ী। সম্প্রতি সেই ছোটনই তৈরি করেছেন ‘বড় মোটর বাইক’। যাতে বসতে পারবেন অন্তত ১০ জন। নিজের তৈরি সেই মোটর সাইকেল দু’নম্বর জাতীয় সড়কে চালিয়ে সকলকে ইতিমধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওই বাইক চলে ব্যাটারিতে। তাঁর দাবি, এক বার চার্জ দিলে সেই মোটর বাইক চলবে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ। আর এমন যান দামেও সস্তা। ছোটনের বক্তব্য, ওই মোটর সাইকেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা।

ছোটনের বক্তব্য, ‘‘আমরা সব বন্ধু মিলে একসঙ্গে ঘুরতে যাব। এমন একটা মোটর বাইক তৈরি করার ইচ্ছা আমার বরাবর ছিল। তখনই এমন বাইক তৈরির কথা আমার মাথায় আসে। সকলের সাহায্যে আমি তৈরি করেছি ওটা।’’ বাইকে রয়েছে ছোট সাউন্ডবক্স, যা মোবাইলের ব্লু টুথ কানেকশনের সঙ্গে জুড়লে বাজবে গানও।

দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে বেজায় ধাক্কা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদৌ প্রভাব পড়বে?

গ্রাম বাংলায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি বেজায় ধাক্কা খাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে সাংসদ থেকে বিধায়ক, দলীয় নেতৃত্ব থেকে মন্ত্রীর সামনেই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূতদের। সম্প্রতি একাধিক কর্মসূচি দেখলে মনে হতে পারে সুরক্ষাকবচ ঢিলে পড়েছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ, গ্রামে ঢুকতে বাধা, মন্ত্রীর সামনেই মমতার দূতের গ্রামবাসীকে সপাটে চড় দেখতে পাচ্ছে আমবাঙালি। তবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদৌ এর কোনও বিরূপ প্রভাব পড়বে? তা কিন্তু লক্ষ টাকার প্রশ্ন।

পূর্ব মেদিনীপুরে দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে বাধা, বীরভূম জেলার দুই তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মালকে ঘিরে বিক্ষোভ। এই জেলাতেই দলের তরুণতুর্কী নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে গ্রামে ঢুকতে বাধা, উত্তর ২৪ পরগনায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই রাস্তা সারানোর দাবি তোলায় গ্রামবাসীকে চড়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মসূচি ঘিরে একাধিক অস্বস্তিকর ঘটনায় চরম বিভ্রান্তিতে ঘাসফুল শিবির। একদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতিতে প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক ব্যক্তি জেলবন্দি, গরুপাচার কাণ্ডে প্রতাপশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার। কয়লাপাচার নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে। আবাস যোজনায় ভুরি ভুরি তৃণমূল নেতা-নেত্রীর ধনসম্পদ থাকা সত্বেও তালিকায় নাম। নানা ইস্যুতে জেরবারের পর দিদির দূতরা গ্রামে যেতেই নয়া সমস্যা।

আরো পড়ুন- প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ফাঁসি দিল ইরান

লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর কাটমানি প্রসঙ্গে তুলেছিলেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি থেকে পঞ্চায়েতের অনেক কর্তাই গ্রাম ছাড়া হয়েছিলেন। কিন্তু হাতে সময় থাকায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই ক্ষোভ সামলে নেয় তৃণমূল। এবারও রাজ্যের নানা জ্বলন্ত ইস্যুর সময় দিদির দূতরা জনসংযোগ করতে গ্রামে যাচ্ছেন। ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকা সত্বেও কর্মসূচি জারি রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামবাসীদের প্রতিক্রিয়া যাচাই করে নিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের সময় হলে সমস্যা বাড়ত। এই ক্ষোভ কতটা নির্বাচনে পড়বে সেটা সব থেকে বড় বিষয়। বিরোধীরা চিৎকার জুড়লেও ভোটবাক্সে কোনও প্রতিক্রিয়া না হলে লাভের লাভের তাদের কিছু হবে না বলেই পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।

কাটমানির ইস্যুর ধাক্কা পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু সামলাননি, আগের দুবারের থেকে বেশি ভোটে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় বসেছেন। রাজনৈতিক মহল এবার দিদির দূতকে বিক্ষোভ ও কাটমানির সময়কালকে মিলিয়ে দেখছে। পঞ্চায়েত দখলে এই আগাম মানুষের মন বুঝে নেওয়াই তৃণমূল নেত্রীর বিশেষ রণকৌশল বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, ভোট ঘোষণার পর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সামলানো মুশকিল হত। পরিস্থিতি বুঝে নতুন ছক কষার সময় পেল ঘাসফুল শিবির। কাটমানির মতো এই ঝটকা সামলে নেওয়া সম্ভব কিনা সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। বিরোধীরা এই পরিস্থিতি কিভাবে কাজে লাগাবে সেটাও দেখার রয়েছে। তবে এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য-রাজনীতি পরিস্থিতি যথেষ্ট ঘোরালো হয়ে উঠেছে। শীঘ্রই ময়দানে নেমে হাল ধরতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, বাড়ল রান্নার গ্যাসের দামও! মধ্যরাত থেকে কার্যকর নতুন দাম

প্রায় তিন মাস পর ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। বাড়ল রান্নার গ্যাসের দামও। সোমবার মধ্যরাত থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে , জানাল পেট্রল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। পেট্রলের দাম ৮৪ পয়সা বেড়ে দাঁড়াল লিটার প্রতি ১০৫.৫১ টাকা। অন্য দিকে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৮৩ পয়সা বেড়ে হচ্ছে ৯০.৬২ টাকা। সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম ৫০টাকা বেড়ে দাঁড়াল ৯৭৬ টাকা।

আরো পড়ুন- কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে

২৬ দিনে পড়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য রাশিয়ার উপরে পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব বাজারে তেলের দামকে ১৩৯ ডলারে ঠেলে তুলেছিল। আকাশছোঁয়া অশোধিত তেল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ হিসাবে ভারতকে উদ্বেগে রেখেছিল। বিশেষেজ্ঞরা ধরে নিয়েছিলেন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরই জ্বালানির দাম বাড়ানোর পথে হাঁটবে কেন্দ্র। গত ১০ মার্চ নির্বাচনের ফল বেরনোর পর ভারতের বাজারেও পেট্রল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে সেই পথেই হাঁটল কেন্দ্র।

রবিবার ২০ মার্চ, শিল্পক্ষেত্রে ডিজেলের দাম এক ধাক্কায় লিটারে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পেট্রল পাম্পে ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল। রবিবার রাজধানী দিল্লিতে পেট্রল পাম্পে এক লিটার ডিজেলের দাম ৮৬ টাকা ৬৭ পয়সা। তবে শিল্পক্ষেত্রে এক লিটার ডিজেলের দাম ১১৫ টাকা। মুম্বইয়ে এই দাম হয়েছে ১২২ টাকা ৫ পয়সা।

বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বাড়ার পরও ২০২১ সালের নভেম্বরের পর সরকার পরিচালিত সংস্থাগুলি পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ায়নি।