Rina Enterprise – Wholesaler & Distributors in Kanchrapara

Rina Enterprise has gained great expertisein wholesale business, This Company is located in Kanchrapara. Founded on 1999, proprietor name Mr. Partha Majumdar, contact number 9143394734, GST NO – 19ALMPM7152L1ZEF, FSSAI License Number- 12821013001101, having its registered office 186 Subodh Roy Sarani Ward-07, Kanchrapara, West Bengal.

Rina Enterprise is a leading spice and rice dealer in Kanchrapara. Main activity of Rina Enterprises is wholesale FMCG products business in Kanchrapara. Rina Enterprises is an authorized dealer of companies like JK Masala, India Gate Basmati Rice, Ruchi Food Line, Apollo Fruit Products, Druk Food Products, Arpita Agro Products, Device Chemicals, Panda Chow, Dear brand Rose Water. Rina Enterprises has been classified as Micro Enterprise in the financial year 2023-24. Its unit is located in Kanchrapara, West Bengal.

বর্ধমান স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্ধমান স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! দুপুর ১২.৩০ নাগাদ উঁচু থেকে ভেঙে পড়ে একটি জলের ট্যাঙ্ক। প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সূত্রের দাবি ইতিমধ্যেই তিন জনের প্রাণ হারানোর খবর ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। আহতের সংখ্যাও অন্তত ২৭ জন। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের তরফে কেবল বেশ অনেক জনের আহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে। এদিকে, এই দুর্ঘটনার জেরে প্রভাব পড়ে ট্রেন চলাচলে। প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১,২,৩ এ ট্রেন চলাচল স্তব্ধ রাখা হয়েছে। আহতের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানায় রেল। ঘটনার জেরে ব্যাপক ত্রস্ত স্টেশন চত্বরে থাকা মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যে জলের ট্যাঙ্কটি ছিল, আচমকাই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কী করে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন।

যদিও রেল কতৃপক্ষের তরফে যাত্রীর মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয় নি। স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে একটি ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। সেই সময় দু’টি প্ল্যাটফর্মেই গাদাগাদি ভিড়।

আচমকা ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় মুহূর্তে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, ওই প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের বসার একটি শেড ছিল। ট্যাঙ্কটি সেই শেডের উপর পড়ে যায়। তাতেই বিপত্তি।এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই প্ল্যাটফর্মে কাছে শেডের নীচে বসেছিলেন। সেই সময় আচমকাই বিকট শব্দে শেডের উপর ভেঙে পড়ে জলের ট্যাঙ্কটি। তাঁরা যে দিকে পারেন, ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন।

প্রচণ্ড হুড়োহুড়ির মধ্যে কয়েক জনকে মাটিতে পড়ে যেতেও দেখেন তিনি। তাঁর দাবি, হুড়োহুড়িতে বহু লোক আহত হয়েছেন। এর আগে ২০২০ সালে এই বর্ধমান রেলস্টেশনেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল একটি পুরনো বারান্দা। এতে দু’জন আহত হয়েছিলেন। কিন্তু আবার এই ঘটনার পর স্টেশনের সামগ্রিক রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল।

Breaking: সাতসকালে পার্থ ঘনিষ্ঠ TMC কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সক্রিয় সিবিআই। সাতসকালে TMC কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্তর বাড়িতে হাজির সিবিআইয়ের ৪ অফিসার। কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক পদেও রয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি রয়েছে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর।

সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর থেকেই রেডারে ছিলেন বাপ্পা। পার্থর সঙ্গে একইসঙ্গে চাকরি দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত। সিবিআই অফিসাররা অনেকক্ষণ বাপ্পার বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে থাকার পর শেষপর্যন্ত ভেতরে ঢুকতে সমর্থ হন।

এদিন সকালে পাটুলিতে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে বেল বাজিয়ে, পরিচয় দেওয়ার পরেও, প্রায় ১৮ মিনিট বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় সিবিআই অফিসারদের। এর মধ্যে পাশের বাড়ির ছাদে উঠে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর বাপ্পাদিত্য নিজেই এসে গেট খুলে সিবিআই অফিসারদের ভিতরে নিয়ে যান। তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়ি ছাড়াও আরও বেশকিছু জায়গায় তল্লাশি চলছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারের বেশ কিছু জায়গায় সিবিআই তল্লাশি চলছে।

এবার রাজারহাটে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও সিবিআই হানা। তেঘরিয়ায় দেবরাজের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। সিবিআই আধিকারিকদের আসার খবর শুনে বাড়িতে এলেন যুব তৃণমূলের দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হানা বলে সূত্রের খবর। দেবরাজ চক্রবর্তী বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। এরই সঙ্গে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। সেখানেও শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে নজরে ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় তৃণমূলের ধরনা, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি ও আন্দোলনের সুর বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শাসকদল তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং রাজ্যকে ১০০ দিনের টাকা না দেওয়ার প্রতিবাদে দুপুর ১২টা থেকে অবস্থানে বসেছে শাসক শিবির ৷ প্রতিবাদ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৷

কলকাতা সহ রাজ্যের সব জেলাতেই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২১-র মঞ্চ থেকে ৫ অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় সেটা করা সম্ভব হয়নি। তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যা ৮ তারিখ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন- চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩, গন্তব্যে পৌঁছাতে আর ক’টি ধাপ বাকি

এদিন বিজপুরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ৷ ডানলপের প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় ৷ কামারহাটিতে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন বিধায়ক মদন মিত্র। পাশাপাশি, সাড়ে 12টা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম অহীন্দ্র মঞ্চের সামনে ধরনায় বসেছেন ৷ ট্রাঙ্গুলার পার্কে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার । টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর বিক্ষোভে আছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস । শ্যামপুকুরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ধরনায় বসেছেন মন্ত্রী শশী পাঁজাও ৷

কলকাতার মতো একই ছবি দেখা গিয়েছে জেলাতেও ৷ জেলার ক্ষেত্রে বিধায়করা এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন ৷ বাদ যায়নি সাংসদরাও ৷ ব্যারাকপুরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সাংসদ অর্জুন সিং ৷ যেসব তৃণমূল সাংসদরা কলকাতায় রয়েছেন তাঁরাও রবিবারের অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ৷ শাসকদলের লক্ষ্য, মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের প্রতি বঞ্চনাকে তুলে ধরা ।

ব্যারাকপুরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সাংসদ অর্জুন সিং

হাওড়ায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধর্নায় বসেছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে মধ্য হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত হাওড়া ময়দান মেট্রো চ্যানেলের সামনে “ধর্নামঞ্চ” তৈরি করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল। উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, তৃণমূল নেতা মদন মোহন ব্যানার্জি, শ্যামল মিত্র, মৃণাল দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আরো পড়ুন- কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে বিজেপি বিধায়ক

গোটা রাজ্যের পাশাপাশি দার্জিলিং জেলা জুরেও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মুলত দার্জিলিং জেলার ধর্ণামঞ্চগুলি হল, নক্সালবাড়ি ব্লকের বাগডোগরা, পানিঘাটা মোড়, ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ফাঁসিদেওয়া থানা মোড়, মিজবাড়িগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাটিগাড়ার স্বামী বিবেকানন্দ মোড়ের কাছে, ও বারসানা হোটেলের সামনে, খড়িবাড়ির সবুজ সংঘ ক্লাবের সামনে ও শিলিগুড়ির ঋষি ভবনের কাছে, ভারত নগর কালি মন্দিরের কাছে ও ঘোগোমালি মোড়ে ধর্ণা মঞ্চের আয়োজন করা হয়েছে। মঞ্চগুলিতে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বদের পাশাাপশি উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল কর্মীরাও। জানা গিয়েছে কয়েকটি মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, জেলা সভানেত্রী পাপিয়া , ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন তৃণমূল কাউন্সিলররা।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে বিজেপি বিধায়ক

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে হাজির গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে বকেয়া আদায় করুক রাজ্য, পরামর্শ বিজেপি বিধায়কের।

এদিন দুপুুর দুটো নাগাদ তৃনমুলের ধর্নামঞ্চের কাছে এসে দাঁড়ায় বিজেপি বিধায়কের গাড়ি। তাঁকে দেখে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। ধরনা মঞ্চে এসে বিজেপি বিধায়ক বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বসে ঠিক করুক কেন বাংলার মানুষ টাকা পাচ্ছেন না। দায়িত্ব দুই সরকারে। আমাদের বিধায়কদের নয়।

আরো পড়ুন- চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩, গন্তব্যে পৌঁছাতে আর ক’টি ধাপ বাকি

রবিবার গঙ্গারামপুরে বিজেপি বিধায়ক সত্যেন রায়ের বাড়ি থেকে দুশো মিটার দূরে বাতাসপুরি মোড়ে তৃণমূলের ধরনা চলছে। সেই ধরনা মঞ্চের পাশ দিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন সত্যেন রায়। তিনি যখন ওই ধরনা মঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে দেখে জয় বাংলা স্লোগান ওঠে। সেইসময় গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন সত্যেনবাবু। এরপর তিনি সোজা মঞ্চে উঠে যান। মাইক নিয়ে তৃণমূলের বহু বক্তব্য সমর্থন করেন, কিছু বক্তব্যের বিরোধিতাও করেন। বলেন, কিছু কিছু জায়গায় কেন্দ্রের বঞ্চনা রয়েছে। সেখানে বিধায়কদের কিছু করার নেই।

জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকারের দাবি, তৃণমূলের বক্তব্য মেনে নিয়েছেন সত্যেন রায়। তবে এনিয়ে বিজেপির কোনও জেলা নেতৃত্ব কোন মন্তব্য করেনি।

৩৫ বছর পর ব্রিগেড! SUCI এর নিশানায় CPIM

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিবদাস ঘোষের শতবর্ষ পালনের সমাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে দীর্ঘ ৩৫ বছর পরে কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন করেছিল SUCI । আর সেই ব্রিগেড সমাবেশ থেকে সিপিএম ও অন্য বামন্থীদের নিশানা করল SUCI । প্রশ্ন তুলল জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী জোটে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএমের একসঙ্গে থাকা নিয়ে। শনিবার সমাবেশ ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোই। দেশের ২৫টি রাজ্য থেকে ট্রেনে ও বাসে সমর্থকেরা এসেছিলেন সমাবেশে যোগ দিতে। বক্তৃতা চলাকালীন লম্বা সময় তাঁরা সুশৃঙ্খল ভাবে ময়দানে বসে ছিলেন।

দীর্ঘ বক্তৃতায় এসইউসি-র বর্ষীয়ান সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ এ দিন বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, সিপিএম বা পুরনো সিপিআই মার্ক্সবাদী আদর্শের ভিত্তিতে গঠিত দল নয়, তাদের কোনও চিন্তা-নায়ক নেই। ক্ষমতার রাজনীতি না করেও এসইউসি-র সেই ‘প্রকৃত সম্পদ’ আছে বলে তাঁর দাবি। তাঁর মন্তব্য, যে সব দল এক সময়ে এসইউসি সম্পর্কে ‘বক্রোক্তি’ করেছিল, তাদের অনেকেই এখন নিশ্চিহ্ন।

প্রভাসবাবু বলেছেন, ‘‘বাংলা, ত্রিপুরা ও কেরলে সিপিএম দীর্ঘ সময় সরকার চালিয়েছে। এই রাজ্যে ৩৪ বছর একটানা সরকারে থেকেও সেই দলের এখন কী অবস্থা? কংগ্রেসের সঙ্গে তারা জোট করেছে। এক জন পীরকে ধর্মনিরপেক্ষ বানানো হয়েছে। আবার এখন জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী একটা জোট হয়েছে, যেখানে সিপিএম আছে, তৃণমূলও আছে। রাজ্যে তারা পরস্পরের সঙ্গে লড়ছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘এসইউসি কিন্তু মাথা নত করেননি। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে!’’

আরো পড়ুন- ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিনের বিস্তীর্ণ এলাকা, আহত অন্তত ১০

ব্রিগেড সমাবেশ থেকে প্রভাস ঘোষ বলেছেন “আমরা বিবেক বিক্রি করিনি। আমাকে কেনা যায়নি। না খেয়ে দিনের পর দিন থেকেছি।” ভাষণে এসইউসি সাধারণ সম্পাদক বারবার অন্যান্য বাম দলগুলিকে নিশানা করলেও রাজ্য সরকারে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে ততটা আক্রমণাত্মক হলেন না।

বারবার সিপিআইএমকে নিশানা আর তৃণমূল সম্পর্কে ‘নরম’ কেন এসইউসিআই? এই বিতর্কে উঠে আসছে তৃণমূলের সাথে এসইউসি জোটের পুরনো প্রসঙ্গ। এই জোট করেই ২০০৯ সালে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ পেয়েছিল এসইউসি। পরে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে প্রথম নামে দলটির ছাত্র যুব সংগঠন। পরে তাদের মদত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

শনিবার SUCI দলের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ চর্চা চলেছে। কারণ এই দলটি গত যুক্তফ্রন্ট সরকারের শরিক ছিল। পরে টানা সাড়ে তিন দশকের বামফ্রন্ট জমামায় লাগাতার সরকার বিরোধী আন্দোলন করে নিজেদের দুটি বিধানসভা আসন ধরে রেখেছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ও জয়নগর দুটি কেন্দ্র ছিল এসইউসিআইয়ের ঘাঁটি। এর বাইরে আর না বাড়লেও দেশজুড়ে সংগঠন আছে। রাজ্যে রাজনৈতিক মহলে এসইউসিআই ‘কুলতলি জয়নগরের পার্টি’ বলেও একসময় কটাক্ষের শিকার হতো। বাম জমানায় ১৯৮৮ সালে প্রথম ব্রিগেড মিটিং। আর ২০২৩ সালে হলো দ্বিতীয় ব্রিগেড।

CBI Raid: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফিরহাদ হাকিমের দফতরে CBI হানা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফিরহাদ হাকিমের দফতরে CBI হানা! সল্টলেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ‘পুরোটাই রাজনীতি’, অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, বুধবার একযোগে রাজ্যের মোট ১৪টি পুরসভায় পৌঁছন সিবিআই-এর একদল আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ‘রাজনীতির’ গন্ধ পান ফিরহাদ। তিনি জানেন না কী উদ্দেশ্যে এ দিনের হানা। তবে ত্রাস তৈরির চেষ্টা চলছে বলে কটাক্ষ করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী।

পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। বেরনোর সময় ওই দফতরের দু’জন কর্মচারীকে গাড়িতে তুলে ডিডি ব্লকে নিয়ে যান।

বুধবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় একযোগে তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতা থেকে জেলা, পুর ও নগরোয়ন্নয় দফতরের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক পুরসভায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া, দক্ষিণ দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দমদম, পানিহাটি, কামারহাটি, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, শান্তিপুর-সহ ১৮টি পুরসভায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, মূলত নথি উদ্ধারের জন্যই রাজ্যের এই পুরসভাগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। এদিন কলকাতার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ১০০ জন সিবিআই অফিসারের ১৬টি দল তল্লাশি অভিযান চালানোর জন্য বের হয়। পুরসভাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন গোয়েন্দারা, সিবিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, পুরসভায় অভিযান চালানোর পাশাপাশি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের সংস্থার নামে থাকা এবিএস ইনফোজোনের অফিসেও তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি অয়নের চুঁচুড়ার পৈতৃক বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল। সেখানে অয়নের মা-বাবার সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিভিন্ন পদে, তা সে মজদুর, ক্লার্ক, ঝাড়ুদার, ড্রাইভার থেকে শুরু করে সব পদেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ড অব কাউন্সিলরদের মিটিংয়ে প্রস্তাব পেশ করে তা পাশ করতে হয়। সেক্ষেত্রে পাশ হওয়া রেজিলিউশনে কোন কোন কাউন্সিলরের সই রয়েছে, সেই তথ্যও সংগ্রহ করবে সিবিআই।

উল্লেখ্য, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এফআইর দায়ের করেছিল। সিবিআই সূত্রে দাবি, মোটা টাকার বিনিময়ে মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই নিয়োগ দুর্নীতির পিছনে প্রভাবশালীদের একাংশের হাত রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার তদন্তে সেই সংক্রান্ত প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূ্র্ণ তথ্য পাওয়া যায়। সম্প্রতি ইডির পক্ষ থেকেও রাজ্যের সব পুরসভাগুলির থেকে ২০১৪ সালের পর থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। এদিকে, সিবিআইয়ের অভিযান নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযানে নেমেছে সিবিআই। এখন কোনও প্রভাবশালীর নাম তদন্তে উঠে আসে কি না, সেটাই দেখার।

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বেতনা নদীর ওপরেই অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বেতনা নদীর উপর ইট বালি সিমেন্ট দিয়ে অবৈধ নির্মানের অভিযোগ। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, গরু চুরির পর এবার কার্যত নদী চুরি হচ্ছে। প্রশাসনের দারস্থ হয়েও কোনো সূরাহা মিলেনি। এমনকি চলতি মাসের শুরুতে বিডিও অফিসে জানালে, পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করলেও ফের কাজ শুরু হয়। অভিযোগ নেপথ্যে রয়েছে মোটা টাকার খেলা।

একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাগদা থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য পরিতোষ সাহা। তিনি বলেন, ‘‘নদী দখল করে বেআইনি নির্মাণের খবর পাওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন এবং ব্লক ভূমি দফতরকে একাধিকবার জানিয়েছিলাম। নিজে গিয়ে তো আর নির্মাণ ভাঙতে পারি না। পুলিশ প্রশাসন কী করছে জানি না।’’

ব্লক ভূমি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে গোপন রিপোর্ট বিডিও-র কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিডিও সৌমেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ভূমি দফতরের তদন্ত-রিপোর্ট মহকুমাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনিই পদক্ষেপ করবেন।’’

আরো পড়ুন- প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

সংস্কারের অভাবে বেতনা দীর্ঘদিন মৃতপ্রায়। কচুরিপানায় ভরা। বাগদা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ওই নদীর জমি দখল করে নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে গত ৩০ এপ্রিল সকালে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছিল, যাঁরা নির্মাণকাজ করছেন, তাঁদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। এর পরে ব্লক ভূমি দফতর থেকেও কর্মীরা গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পরে ফের শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কয়েকজনের দাবি, শুধু অস্থায়ী নির্মাণই নয়, স্থায়ী নির্মাণও হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে ব্লক অফিসের দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ মিটার। প্রশাসনের নাকের ডগায় নদী জবরদখল হয়ে যাচ্ছে দেখেও কর্তাদের হুঁশ ফিরছে না বলে তাঁদের অভিযোগ।

যাঁরা ওই সব নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ‘‘বেতনা নদীর জমিতে প্রায় ৫০টি দোকান তৈরি হয়ে গিয়েছে। পুলিস ও ভূমি দফতরের নির্দেশমতো আমিও কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। অন্যদের দেখাদেখি আবার শুরু করেছি। পুলিশ প্রশাসন মনে করলে ভেঙে দিতে পারে।’’

তবে, শুধু ওই বাজার এলাকাতেই নয়, ব্লকের নানা জায়গায় নদীকে রুদ্ধ করা হয়েছে। কোথাও মাটির বাঁধ দেওয়া হয়েছে, কোথাও নদীর জমি কেটে ছোট ছোট জলাশয় তৈরি করে মাছ চাষ করা হচ্ছে, এমনকি, নদীর মাটিও কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

একসময়ে বাগদা ব্লকের একাংশ এবং বাগদা বাজার এলাকার বর্ষার জল নিকাশির প্রধান মাধ্যম ছিল বেতনা। কিন্তু এখন নদী মৃতপ্রায় হওয়ায় জমা জল সেখানে প্রায় নামেই না। তার উপর নদী দখল হয়ে যাচ্ছে দেখে আপত্তি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, কয়েক বছর আগেও নদী দখল করে বেআইনি নির্মাণের চেষ্টা হয়েছিল। তখন তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য ওই কাজ বন্ধ করে দেন।

গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, এলাকার একমাত্র জল নিকাশি ব্যবস্থা এই বেতনা নদী। এ ভাবে বিনা বাধায় নদীর জমি দখল চলতে থাকলে বর্ষার সময় জল নিকাশি ব্যবস্থা পুরো ভেঙ্গে পড়বে।

প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujayKrishna Bhadra Arrested)। ইডি সূত্রে খবর, তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসে কাজ করা এই কর্মচারীকে।

আরো পড়ুন- বড় খবর! রাজ্যে নতুন শূন্য পদে ১ লাখ ২৫ হাজার নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩০ মে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা বলেন গোপাল দলপতি। যদিও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কোনওভাবেই কোনও দর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না বলে মত তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্রের। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam Case) গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujayKrishna Bhadra) । প্রসঙ্গত, গত ২১ মে সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি-অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে ১১টি মোবাইল ফোন, একাধিক পেন ড্রাইভ সহ বেশ কয়েকটি হার্ডডিস্ক। প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে ইডি কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে সুজয় ভদ্রের বাড়ির থেকে বেরিয়ে যায়।

সুত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সঙ্গেও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও জামাইয়ের জন্য জমি কিনতে টাকা দিয়েছিলেন শান্তনুর স্ত্রীকে। এমনটাই দাবি করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। শেষ পর্যন্ত তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

TET Scam: প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে নজরে এবার ২০১৬! ৪২ হাজর ৫০০ প্রার্থীর তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (TET Scam) নিয়ে দুটি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে চলে গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন আরও মামলা কাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবুও তিনি উদ্যম হারালেন না। সক্রিয় হয়েই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬-য় নিযুক্ত ৪২ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তথ্য তলব করলেন।

প্রাথমিকে নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে থাকে আধিকারিদের তলব করে নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়।

তাতেই প্রকাশ হয়ে হিয়েছে প্রার্থীদের কোনো অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়ে গড় নম্বর বসানো হয়েছে। ফলে ফের নিয়োগ বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

আরো পড়ুন – SSC Scam: ২৬ জনকে চাকরি দিতে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা তুলেছিল শান্তনু, বিস্ফোরক দাবি ইডির

এবার তিনি প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে নিযুক্ত ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষকের বিস্তারিত রিপোর্ট পর্ষদের কাছে চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট আকারে এই তথ্য পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বুধবারই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই।

সেই রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই দুর্নীতি হয়েছে। তারপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আবার নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৬ সালের ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে প্রাথমিকে নিযুক্ত শিক্ষকদের বিস্তারিক রিপোর্টে পাঠাতে হবে পর্ষদকে। ওই ইন্টারভিউয়ের বিত্তিতে ৪২ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়েছিল।

প্রাথমিক নিয়োগ হওয়া ৪২ হাজার ৫০০ প্রার্থীর প্রত্যেকের নাম, জেলা, জাতি ও শ্রেণি জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। এ জন্য পর্ষদকে ২ সপ্তাহ সময়ে দিয়েছেন বিচারপতি। তার মধ্যেই বিস্তারিত তথ্য চাই তাঁর। কেননা এই নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে, এই দুর্নীতি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। ওই নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের ধরন দেখেই স্পষ্ট হয়েছে দুর্নীতির জাল সেথানেই বিছনো ছিল। এখনও মানিক ভট্টাচার্য এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। তবে খুবহ শীঘ্রউ স্পষ্ট হয়ে যাবে সব।

এদিনই সিবিআই আবার প্রশ্ন তুলেছে, দু-দফায় মানিক ভট্টাচার্যের মেয়াদবৃদ্ধির পিছনে কী কারণ রয়েছে, তাও জানা দরকার। সেজন্য দরকার তদন্ত হওয়ার। এই মর্মে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এখন দেখার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতের নতুন কোনো ক্লু সামনে আসে কি না।

রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে শিক্ষা জগতের কর্তাদের মুখোশ খুলে গিয়েছিল বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে। সেই নিয়োগ দুর্নীতির দুটি মামলা থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরও অকুতোভয় তিনি।

তারপরও বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক নন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সাক্ষাত্‍কার সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তাঁর লড়াই চলবে। তিনি জানান, লড়াইয়ে যখন নেমেছি, শেষপর্যন্ত লড়ব।

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেরা বাংলা! স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র

বাংলার মুকুটে নয়া পালক। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেরা পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন নিগম। ‘রাজ্যের জন্য খুবই গর্বের বিষয়’, টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

দেশে যতগুলি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা রয়েছে, তার মধ্যে সেরার তকমা পেল ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে প্রতি বছরই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবার সেই তালিকায় সেরার শিরোপা পেল এল রাজ্যে।

আরো পড়ুন- “বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কুটনীতিবিদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং হনুমানজী”- জয়শঙ্কর! মহাভারত ও বর্তমান সময়ের বিশ্বরাজনীতির মধ্যে মিল

দেশের মধ্যে সেরার তালিকায় রাজ্য বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন নিগমের তিনটি তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্র। তালিকায় শীর্ষে বক্রেশ্বর।

দ্বিতীয় স্থানে পুরুলিয়া সাঁওতালডিহি, আর পঞ্চম স্থানে সাগরদিঘি। কীভাবে? কেন্দ্রীয় বিদ্যুত্‍ মন্ত্রকের অধীনস্থ সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি জানিয়েছে, হাই প্ল্যান্ট লোড ফ্যাক্টরের ক্ষেত্রে এই র‍্যাঙ্কিং করা হয়ে থাকে। তার বিচারেই রাজ্য বিদ্যুত্‍ উন্নয়ন নিগমের তিনটি তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্র সেরার তালিকায় উঠে এসেছে।

এর আগে, মার্চে সর্বভারতীর স্তরে পুরস্কৃত হয়েছিল রাজ্যের ৪টি ই-গর্ভনেন্স পরিষেবা। সেবার টুইট ওই ৮ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মিড ডে মিলের খিচুড়িতে পাওয়া গেল আস্ত সাপ! চাঞ্চল্য নদিয়ায়

মিড ডে মিলের খিচুড়িতে পাওয়া গেল আস্ত সাপ! ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাপড়া থানার আলফা গ্রাম পঞ্চায়েতের দমপুকুরের ৬০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

মিড ডে মিলের খাবারে টিকটিকি, আরশোলা, ইঁদুরের পর এ বার মিলল আস্ত সাপ! শিশুদের রান্না করা খাবারে শনিবার আস্ত সাপ মেলায় উদ্বেগে অভিভাবকরা। কারণ, সেই খাবার খেয়েও ফেলেছে অনেক পড়ুয়াই। শনিবার

অঙ্গনওয়াড়ির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শাহানারা খাতুন বলেন, ‘‘রোজের মতো শনিবারও খাবার নিয়ে গিয়েছে বাচ্চারা। পরে এক অভিভাবক অভিযোগ জানান, তাঁর খাবারে আস্ত সাপ মিলেছে!’’ খিচুড়িতে সাপ পাওয়ার জন্য পরিকাঠামোকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই রান্না করতে হয়। তাই সাপ মেলার ঘটনায় আশ্চর্যের কিছু নেই।

আরো পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাঁকুড়া! বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ

শনিবারও বাচ্চার জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন রঙ্গিলা বিবি। বাচ্চার খাবারে সাপ দেখে ভয় পেয়ে যান তিনি। বলেন, ‘‘অর্ধেক খাবার খাওয়ানোর পর সাপ দেখতে পাই। এ কথা বললেও দিদিমণিরা কেউ গুরুত্ব দেননি। ঠিকঠাক পরিষ্কার ভাবে রান্না হয় না। বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এর দায় কে নেবে?’’

ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খোঁজখবর নিতে শুরু করেন প্রশাসনিক কর্তারা। চাপড়া ব্লকের সিডিপিও বিপ্লব দাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও গাফিলতি থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হবে।’’