কাঁচরাপাড়ায় পর পর তিনটি বিস্ফোরণ! বোমায় উড়ল হাত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাঁচরাপাড়ায় পর পর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ। আজ, রবিবার দুপুরে কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুবোধ রায় সরণিতে একটি কাগজ বিক্রির গোডাউনো রাখা ছিল বোমা। বোমা ফেটে গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাস্থাল থেকে আরও একটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ, দমকল বাহিনী। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।

রবিবার সকালে গান্ধী প্রাইমারি স্কুলের পাশে একটি কাগজের গোডাউনে আচমকা পরপর তিনটি বিস্ফোরণ কেঁপে উঠে গোট এলাকা। আগুন ধরে যায় গোডাউনে। ঘর থেকে বেরিয়ে স্থানীয়রা দেখেন রাস্তা ভর্তি রক্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে দুজন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছে তাঁদের হাত। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বীজপুর থানার পুলিশ। ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শর্মিষ্ঠা মজুমদার-সহ অন্যান্যরা। তড়িঘড়ি আতহদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিশালবাহিনী। তবে দোকানের বাইরে থেকে বোমা ছোঁড়া হয়েছে, নাকি দোকানের জিনিসের মধ্যেই মজুত ছিল বোমা, তদন্তে পুলিশ ।

আরো পড়ুন- ইন্ডিয়া জোটে জোর ধাক্কা! ইস্তফা দিয়ে আগামিকাল এনডিএতে নীতীশ?

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনের পাশে বাচ্চাদের স্কুল রয়েছে। পাড়াতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা ধূলা করে। এদিন রবিবার থাকা স্কুল বন্ধ ছিল। না হলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

স্থানীয় কাউন্সিলর শর্মিষ্ঠা মজুমদার বলেন, শান্ত কাঁচরাপাড়াকে এভাবে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কী করে এরকম ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

গোটা বিষয় নিয়ে বলেন ব্যারাকপুর লোকসভা সংসদ অর্জুন সিং বলেন, আমিও গোটা বিষয়টি শুনেছি। আমাদের পুলিশ কমিশনার খুব সক্ষম। দ্রুত দোষীরা ধরা পড়বে।

ভাটপাড়া উৎসবে মর্মান্তিক কান্ড! মঞ্চ থেকে পড়ে মৃত্যু নৃত্যশিল্পীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভাটপাড়া উৎসবে মর্মান্তিক কান্ড! নাচের অনুষ্ঠান সেরে মঞ্চ থেকে নামার সময় আচমকা মৃত্যু হল নৃত্যশিল্পীর। মৃত যুবকের নাম সজল বারুই(২২)। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।

আরো পড়ুন- প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য বড় উপহার ম্যাক্রঁর

১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ভাটপাড়া উৎসব । বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেই পারফর্ম করতে এসেছিলেন ‘ছন্দকী’ নৃত‍্যকলা কেন্দ্রের শিল্পীরা । দলে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন ছিলেন । তার মধ্যে বছর বাইশের সজলও এসেছিল নৃত্যানুষ্ঠানে পারফর্ম করতে । তাঁর বাড়ি কল‍্যাণীতে । অভিযোগ, নাচের অনুষ্ঠান শেষ করে মঞ্চ থেকে নামার মুহূর্তে হঠাৎই সজলের পায়ে খোলা তারের অংশ জড়িয়ে যায় । তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিল্পী । সেই দৃশ্য দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান অন‍্যান‍্য শিল্পীরা । শুরু হয় হইচই । এরপরই তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ওই নৃত্যশিল্পীকে । ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায় । বন্ধ করে দেওয়া হয় উৎসব । ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।

এদিকে, ঘটনার পর উৎসব কমিটির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে । এই বিষয়ে উৎসব কমিটির কর্মকর্তা তথা ভাটপাড়া পৌরসভার পৌর-পারিষদ অমিত গুপ্তা বলেন,”প্রথমে দুটি নাচের দলের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর তৃতীয় নাচের দলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন সজল বাড়ুই । নাচ শেষ করে তিনি মঞ্চ থেকে নামার সময় হঠাৎই পড়ে যান । বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা অনেকেই বলছে । কিন্তু, সেটা হলে তো আরও অনেকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকত ! সেটা হয়নি । এটা সম্পূর্ণ তদন্তের বিষয় । তবে, এটুকু বলব এই ঘটনায় আমরা সকলেই মর্মাহত । নিহতের পরিবারের পাশে রয়েছি আমরা ।”

পর্যটকদের জন্য সুখবর! দীঘা যাওয়া নিয়ে বড় খবর দিল রেল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কাছে দীঘা (Digha) বরাবরই খুব কাছের একটি জায়গা। সপ্তাহান্তের ছুটি হোক কিংবা একদিনের জন্য ঘুরতে যাওয়ার ঠিকানার খোঁজ পড়লেই বাঙালির পছন্দের তালিকায় প্রথমেই উঠে আসে দীঘার নাম। প্রতিদিন দীঘার সমুদ্র সৈকতে ভিড়ও হয় প্রচুর। এবার সেই সব কথা মাথায় রেখে দীঘাগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচ বৃদ্ধি করল রেল।

যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতেই রেলের এমন সিদ্ধান্ত।‌ শুধুমাত্র দিঘাগামী নয়, উত্তরবঙ্গগামী আরও একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত রেলের।

ইতিমধ্যে দুটি ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ লাগানো হয়েছে। একদিকে যেমন দিঘা যাত্রীদের সুবিধা হল, পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্যও অনেকটাই সুবিধা হল।

আরো পড়ুন- মমতাকে লাগাতার নিশানা! অধীরের কারনে তৃণমূল ছাড়ছে INDIA জোট

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ টাউন- দীঘা- মালদহ টাউন এক্সপ্রেস ট্রেনের সাধারণ কোচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই ট্রেনে একটি অতিরিক্ত সাধারত দ্বিতীয় শ্রেণীর কোচ বৃদ্ধি হচ্ছে।

১৩৪১৮/13418 মালদহ টাউন – দীঘা – মালদহ টাউন এক্সপ্রেসেরে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অতিরিক্ত কোচ নিয়ে চলাচল শুরু হবে। অপরদিকে শিয়ালদহ – নিউ আলিপুরদুয়ার – শিয়ালদহ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের এসি কোচ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে এই ট্রেনেরএকটি অতিরিক্ত এসি-৩ টায়ার কোচ এবং একটি এসি ৩-টায়ার কাম এসি-২ টায়ার কোচ বৃদ্ধি করা হয়েছে । ১৩১৪১/ ১৩১৪২ শিয়ালদহ – নিউ আলিপুরদুয়ার – শিয়ালদহ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসে ৩১ জানুয়ারির থেকে নতুন অতিরিক্ত কোচ লাগানো হবে। রেলের এমন সিদ্ধান্তে খুশি যাত্রীরা।

মমতাকে লাগাতার নিশানা! অধীরের কারনে তৃণমূল ছাড়ছে INDIA জোট

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় জোট হবে কী হবে না তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। কিন্তু কংগ্রেসের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি একাই লড়বেন। অর্থাৎ বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট বাংলায় ধাক্কা খেল।

এই পরিস্থিতির জন্য তৃণমূলের নেতারা মূলত অধীরকেই দায়ি করছেন। তাঁদের বক্তব্য, দিল্লিতে যখন জোট নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন রাজ্যে লাগাতার মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন অধীর। যদি তারপরও ক্ষান্ত হননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বৃহস্পতিবারও ‘ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা’-র মঞ্চ থেকে মমতাকে তোপ দেগেছেন।

আরো পড়ুন- পরিবারের অমত! মন্দিরে গাঁটছাড়া বাঁধলেন দুই তরুণী

তৃণমূলের তোপের মুখে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন এদিন তোপ দাগেন, ” পশ্চিবঙ্গে জোট কার্যকরী না হওয়ার জন্য কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী-ই হচ্ছেন কারণ।” ডেরেক আরও বলেন, “ইন্ডিয়া জোট দু’জনকে নিয়ে চিন্তিত। এক, বিজেপি। দুই, অধীর চৌধুরী। মোদী-শাহর কথা শোনা যাচ্ছে অধীর চৌধুরীর গলায়। অধীর চৌধুরী গত ২ বছর ধরে ইডি, সিবিআই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছেন। প্রেস কনফারেন্স করছেন। তাঁর বক্তব্যে শুধুই তৃণমূল বিরোধিতা। জুনে পাটনার বৈঠকের পর ১৮০ দিন অতিবাহিত। আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছি। জোটের সব শর্ত মেনেছি। আসন ভাগাভাগির জন্য তারা ১২ দিন সময় চাইল। আমরা তা-ও দিলাম। এখন ২১০ দিন অতিবাহিত। এরমধ্যে প্রত্যেকদিন অধীর চৌধুরী তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে চলেছেন।”

https://x.com/PTI_News/status/1750424405581135887?s=20

যদিও বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এদিন ফের বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সম্মান করি। উনি আমাদের জন্য প্রেরণার স্রোত। ইন্ডিয়া জোটের বড় স্তম্ভ। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ছাড়া ইন্ডিয়া হতে পারে না।” প্রসঙ্গত, মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, “বাংলায় সব সিটে একাই লড়বে তৃণমূল।” সেই প্রসঙ্গে জয়রাম রমেশ বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সম্মান করি। উনি আমাদের জন্য প্রেরণার স্রোত। ইন্ডিয়া জোটের বড় স্তম্ভ। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ছাড়া ইন্ডিয়া হতে পারে না। আমি জানি বাংলায় যদি বিজেপিকে হারাতে হয়, তাহলে তৃণমূলের হওয়া অনিবার্য। আর দেশে যদি বিজেপিকে হারাতে হয়, তাহলেও তৃণমূলের থাকা দরকার। আমাদের নেতা খাড়গেজী,সোনিয়া গান্ধীজী,রাহুল গান্ধীজী সবাই ওনাকে সম্মান করে।”

পাশাপাশি জয়রাম রমেশ আরও বলেন, “আর এই যে সিট শেয়ারিং-এর ফর্মুলা চলছে, সেটা নিয়ে কোনও বক্তব্য দেব না। তবে কিছু না কিছু একটা রাস্তা বের করব।” বলেন, “ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তার কারণ মমতা বন্দোপাধ্যায় ও আমাদের উদ্দেশ্য একটাই। আর উনি মুখ্যমন্ত্রী, ওনার যদি সময় হয়, তাহলে অবশ্যই যদি আমাদের এই ভারত জোড়ো যাত্রায় আসেন, তাহলে ওনাকে স্বাগত জানাই। এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ওনার বিরুদ্ধে নয়।” প্রসঙ্গত, গতকাল বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় চব্বিশে একলা চলার সাফ বার্তা দিয়ে বলেন, “বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। অল ইন্ডিয়ায় কী করব না করব, সেটা আফটার ইলেকশন ভাবব। বাংলায় জোট নিয়ে আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। বাংলায় একা লড়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছি। গোটা দেশে ৩০০ আসনে লড়ুক হাত শিবির।” পাশাপাশি, রাজ্যে ন্যায়যাত্রা প্রসঙ্গেও ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, “বাংলায় যে আসছেন, ইন্ডিয়ার জোট সঙ্গী হিসাবে কি আমাদের জানিয়েছেন যে দিদি আপনার রাজ্যে যাচ্ছি? আমাদের কিছু জানানো হয়নি।”

পরিবারের অমত! মন্দিরে গাঁটছাড়া বাঁধলেন দুই তরুণী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। দীর্ঘদিন ধরেই তারা একে অপরের ভালোবাসা। পরিবারের মত না থাকায় নিজেদের ইচ্ছেতেই দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে একটি পূর্ণতার রূপ দিলেন পপি ও প্রতিমা। মালদার ইংরেজবাজার শহরের মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন হ্যান্টা কালীবাড়ি মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দুই সমপ্রেমী তরুনী। হয়েছে মালাবদল-সিঁদুরদান। আর এই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে ওই এলাকায় অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পপি মন্ডল এবং প্রতিমা বিশ্বাস, প্রথম জনের বাড়ি বামনগোলা থানার নালাগোলা এলাকায়। অপরজনের বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়।

আরো পড়ুন- ১৪ বছর পর কোচবিহারে রাহুল গান্ধী! আজ উত্তরবঙ্গে প্রবেশ কংগ্রেসের ‘ন্যায় যাত্রা’র

দুই মহিলা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল দীর্ঘদিনের। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তাঁদের আলাপ হয়। ধীরে ধীরে সেই আলাপ যথেষ্ট গাঢ় হয়। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরপরেই তাঁরা একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা করতে থাকেন তাঁরা। সেই পরিকল্পনা থেকেই তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

বুধবার রাতে মালদার ইংরেজবাজারের হ্যান্টা কালীবাড়ি মোড়ে দুই সমকামী মহিলা বিবাহ বন্ধনে (Marriage) আবদ্ধ হন। দু’জনেই জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সমর্থন না মেলায় তাঁরা এভাবে মন্দিরে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

১৪ বছর পর কোচবিহারে রাহুল গান্ধী! আজ উত্তরবঙ্গে প্রবেশ কংগ্রেসের ‘ন্যায় যাত্রা’র

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপি-বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে বাংলায় থাকছে না তৃণমূল ৷ বুধবার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ লোকসভা নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই ৷ মুখ্যমন্ত্রীর মান ভাঙানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি থেকে শুরু করে দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের মতো নেতৃত্ব ৷

এই আবহে বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে বাংলায় প্রবেশ করছে রাহুল গান্ধীর “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”। ১৪ বছর পর উত্তরবঙ্গে পা রাখছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আজ দিনভর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে রাহুলের।

এদিকে রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে তৈরি রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানে অবশ্য নেতৃত্বদের মধ্যে অধীররঞ্জন চৌধুরি ছাড়াও রাজ্য কংগ্রেসের অবজার্ভার আহমেদ মির-সহ একগুচ্ছ নেতা উপস্থিত থাকবেন। আলিপুরদুয়ারে কংগ্রেসের এই কর্মসূচিতে সিপিএম অংশ নেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরো পড়ুন- ED Raid: সাত সকালে তালা ভেঙে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

এছাড়াও খাবারের তালিকায় রয়েছে লুচি, সাদা রুটি, ছোলার ডাল, সাদা ভাত, ভেজ ডাল, চিকেন কষা, আলু ভাজা, স্যালাড, গন্ধরাজ লেবু। তার সঙ্গে ব্রকোলির বিশেষ একটি সুপ সেখানে তৈরি রাখা হয়েছে। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, ন্যায় যাত্রায় রাহুল গান্ধী আজ কোচবিহারে আসছেন। তাঁর এই কর্মসূচি নিয়ে বাংলার মানুষ খুবই উৎসাহিত।

প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন আমরা রাহুল গান্ধিকে স্বাগত জানানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় তোরণ, হাতগেট, হোর্ডিং, ব্যানার, পোস্টার লাগিয়েছি ৷ 28 জানুয়ারি রাজবংশীদের একটি অনুষ্ঠান আছে ৷ সেখানে 101টি ঢাকি থাকবে ৷ ব্যান্ড থাকবে ৷ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে রাহুল গান্ধিকে স্বাগত জানানো হবে ৷”

এরই সঙ্গে শঙ্কর মালাকার আরও জানালেন, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার জন্য পুলিশ প্রশাসন কংগ্রেসকে সাহায্য করছে ৷ তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধির ব্যাপারে এখনও কেউ বিরোধিতা করেনি ৷ আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে ৷ বিজেপি বিরোধী শক্তি সিপিএম, তৃণমূল, আরএসপি সবাইকে আবেদন জানানো হবে ন্যায় যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য ৷ পুলিশ প্রশাসন খুব ভালো সহযোগিতা করছে। পৌরনিগমও সহযোগিতা করছে।”

গত 14 জানুয়ারি মণিপুর থেকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ এরপর নাগাল্যান্ড, অসম হয়ে কাল পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে এই যাত্রা ৷ 5 দিন ধরে 7টি জেলার মধ্যে দিয়ে যাবে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ৷

ED Raid: সাত সকালে তালা ভেঙে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সাত সকালে তালা ভেঙে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি। এর আগেও রেশন দুর্নীতিতে শেখ শাহজাহনের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের বিপত্তির মুখে পড়তে হয়েছিল৷

আরো পড়ুন- রাশিয়াতে মৃত্যু উপত্যকা! ডিয়াটলোভ পাস রহস্য

১৯ দিন পর ফের ২৫ টি গাড়ি করে ১২৫ জনের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সাতজন আধিকারিকের দল শেখ শাহজাহনের বাড়িতে সকাল সাতটার মধ্যে পৌঁছে যায়৷ বাড়িতে তালা বন্ধ থাকায় নাম ধরে ডাকাডাকি করা হলেও কেউ গেট খুলছিলেন না৷ সূত্রের খবর পরে একজন নেমে এলেও সে জানায় তাঁর কাছে বাড়ির চাবি নেই৷ পরে চাবিওয়ালা এনে তালা ভেঙে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকে ইডি। ২ স্থানীয় সাক্ষীকে সামনে রেখে তল্লাশি শুরু। শেখ শাহজাহানের ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছেন ১৩ জন ইডি অফিসার। পুরো ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখা হয়েছে৷

দুটি ইনজেকশনেই গায়েব হবে খারাপ কোলেস্টেরল! ভারতীয় ফার্মার তৈরি ওষুধ আসছে এই মাসেই

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কোলেস্টেরল একটি ভয়াবহ অসুখ। এই অসুখে আক্রান্ত হলে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। বর্তমানে অনেকেই কোলেস্টেরল বৃদ্ধিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এবার মাত্র দুটো ইনজেকশনেই কমবে কোলেস্টেরল। ভারতের কোম্পানি নোভার্টিস এই ওষুধ খুব তাড়াতাড়ি আনছে বাজারে। এই ওষুধের দাম শুনলেই চোখ কপালে উঠবে। যেসব রোগীর কোলেস্টেরল খুব বেশি, তাদের জন্য এই ওষুধ খুবই কার্যকরী বলে জানিয়েছেন নোভার্টিসের বিশেষজ্ঞরা।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং মাদ্রাজ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এই ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। দ্য ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে এই ওষুধের খবর ছাপা হয়েছে। এই ওষুধের নাম ইনক্লিসিরান। এর একটি ডোজেরই দাম লাখ টাকার বেশি। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৩ থেকে ৬ মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। তবে মাত্র দুটি ডোজেই এলডিএল-সি, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল-সি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বলে দাবি।

আরো পড়ুন- BJP-র পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়লেই মুশকিল (Bad Cholesterol)! এই একটা রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে হাজার একটা রোগ। হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাড়ে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল (LDL) হল যত নষ্টের গোড়া। তবে কোলেস্টেরল মানেই খারাপ নয়, শরীরে বেশ কিছু উপকারী কোলেস্টেরলও থাকে। হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে ভাল। এলডিএল কমিয়ে এইচডিএলের মাত্রা বাড়ালেই শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে। নতুন ওষুধটি সেই কাজই করবে বলে দাবি।

রোজই শরীরে কোলেস্টেরল তৈরি হয়। প্রতি গ্রাম কোলেস্টেরল তৈরিতে একটা গোটা দিন সময় নেয় যকৃত। প্রতি দিনের খাবার থেকেও সামান্য পরিমাণ কোলেস্টেরল শরীর পায়। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের যতটা প্রয়োজন, ততটা স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়ে যায়। তাই অনিয়মের হাত ধরে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলেই প্রথমেই পরিবর্তন আনতে হয় রোজকার ডায়েটে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত শরীরচর্চারও প্রয়োজন আছে। শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। শরীরে মেদ জমলেই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, আর ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। তেল-মশলা জাতীয় খাবারের আধিক্য, কম নড়াচড়া, শরীরচর্চায় অনীহা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল, মানসিক চাপ, ট্রান্স ফ্যাটের বাড়াবাড়ি ইত্যাদি কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। তাই কোলেস্টরল না কমালে পরবর্তীতে নানারকম শারীরিক সমস্য়া দেখা দেবে।

BJP-র পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার

BJP-র পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, হাওড়ার সাঁকরাইলের কান্দুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য রূপা রায়ের বাড়িতে হানা পুলিশের। উদ্ধার ২৬ কেজি গাঁজা, দাবি পুলিশের। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন- টার্গেট ৩৫, প্লেন রেডি বিজেপির! এবার বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে আসরে হেনন্ত

টার্গেট ৩৫, প্লেন রেডি বিজেপির! এবার বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে আসরে হেনন্ত

বাংলা হান্টডেস্কঃ সামনেই লোকসভা নির্বাচন, দিল্লি থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন একের পর এক বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে অংশ নিতে চলেছেন পড়শি রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আজ, শনিবার বিকেলের উড়ানে তিনি দমদম নেতাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন। সেখান থেকে সোজা সল্টলেকে বিজেপির দফতরে যাবেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

অসম-সহ উত্তর পূর্ব ভারতে বিজেপির চাণক্য হিমন্ত বিশ্বশর্মা। একসময় তিনি কংগ্রেসে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও চিটফান্ড নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তিনি শুধু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তা নয় উত্তর পূর্বে তিনিই এখন গেরুয়া দলের কাণ্ডারী। লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে হিমন্ত বিশ্বশর্মার উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ভাষাগত সমস্যাও এক্ষেত্রে নেই।

উত্তর পূর্ব ভারতে যার হাত ধরে বিজেপি বিস্তার লাভ করেছে এবার তাঁকেই বাংলার রাজনীতিতে কাজে লাগাতে তৎপর দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিকে আজই কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি তো কিছুটা ডেলি প্যাসেঞ্জারির কায়দায় এরাজ্যে আসছেন।

আরো পড়ুন- মকর সংক্রান্তি উৎসব! জেনে নিন এই বছর শাহি স্নানের সময় এবং পূর্ণ স্নানের স্থান

এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দফতরে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল। দু’দিন আগেই সাধ্বী নিরঞ্জন বাংলায় এসে দাবি করে গিয়েছেন এরাজ্যে বিজেপি এত আসনে জিতবে কেউ কল্পনা করতে পারবে না। অসম কংগ্রেসের প্রাক্তন এই নেতা ও মন্ত্রী ২০১৫-তে দিল্লিতে অমিত শাহর হাত ধরে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। ২০১৬-তে রাজ্যে বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

খানিকটা হিমন্তের কায়দাতেই বাংলায় মুকুল রায়ের গেরুয়া যোগ হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে বিজেপি এরাজ্যে দলে নিয়েছিল অসমের বিশ্বশর্মা মডেলকে অনুসরণ করেই। এমনই মনে করে রাজনৈতিক মহল। যার ফল মিলেছিল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে।

হিমন্ত ২০২১-এ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হন। এবার তিনি বাংলায় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে হাজির থাকছেন। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে নানা ক্ষেত্রে ক্ষমতা ভোগ করেছে বিজেপি। সেই সংকট সামলেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামনের লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে ৩৫ টি আসনে টার্গেট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার সেই টার্গেট পূরণ করতে ময়দানে নামছেন হিমন্ত।

Makar Sankranti 2024: মকর সংক্রান্তি উৎসব! জেনে নিন এই বছর শাহি স্নানের সময় এবং পূর্ণ স্নানের স্থান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আগামী সোমবার ১৫ জানুয়ারি দেশজুড়ে পালিত হবে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) উৎসব। এই উৎসব হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসব। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মকর সংক্রান্তি বিভিন্ন নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটি পৌষ পার্বণ হিসেবে পালিত হয়। এ ছাড়াও গুজরাটে উত্তরায়ণ, উত্তরপ্রদেশে খিচুড়ি, দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গাল, পঞ্জাবে লোহড়ি নামে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি। জ্যোতিষ অনুযায়ী সূর্য যখন ধনু রাশি থেকে বেরিয়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তখন মকর সংক্রান্তি পালিত হয়। এই তিথিতে গঙ্গা স্নানের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এ ছাড়াও এই তিথিতে সূর্য পুজো করা হয়ে থাকে

পঞ্চাং অনুসারে, এই বছর শাহি স্নানের সময়-

১৫ জানুয়ারি সোমবার মকর সংক্রান্তির উৎসব পালিত হবে

এদিন সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে সূর্য ধনু রাশি ছেড়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করবে

মকর সংক্রান্তির পুণ্যকাল মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিট

মহাপুণ্য কাল মহা মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত

সোমবার রাতে ৭ টা ১০ মিনিটে ধনু রাশি ত্যাগ করে মকর রাশিতে প্রবেশ করবে। শাস্ত্রে দান ও স্নানের শুভ সময়কে উদয় তিথি বলে মনে করা হয়েছে। সেজন্য উদয় তিথি অনুসারে, ১৫ জানুয়ারি সোমবার মকর সংক্রান্তি উৎসব পালিত হবে। দান, দান এবং স্নানের শুভ সময়ও ১৫ জানুয়ারি হবে।

একটি ধর্মীয় বিশ্বাস আছে যে এই দিনে গঙ্গা নদীতে স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই সম্পর্কে একটি জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে, যা নিয়ে লোকেরা গঙ্গা স্নানের পরে দান করে। মকর সংক্রান্তির দিনেও ব্যাপকভাবে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। একই সময়ে, এই দিনে লোকেরাও বেড়াতে যায় এবং তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটায়।

জেনে নিন কোথায় গঙ্গা স্নান করা যায়-

এই দিনে লোকেরা ত্রিবেণী সঙ্গমে রাজকীয় স্নান করতে পারে। এই নদীটি সবচেয়ে পবিত্র স্থানের অন্তর্ভুক্ত। এখানে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী তিনটি নদী মিলিত হয়েছে, তাই একে ত্রিবেণী সঙ্গম বলা হয়। মকর সংক্রান্তির দিন এখানে রাজকীয় স্নানের আয়োজন করা হয় যাতে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত আসেন।

গঙ্গা সাগর-

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গা সাগরে রাজকীয় স্নান করতে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। এখানে গঙ্গা নদী সাগরে মিলিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত এই স্থানটি হিন্দুদের জন্য একটি পবিত্র স্থান। এই স্থানে স্নান করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয় কারণ পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, যে ব্যক্তি গঙ্গা সাগরে স্নান করেন তিনি ১০ টি অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সমান পুণ্য লাভ করেন। কথিত আছে যে এখানে ডোবানোর ফলে এক হাজার গরু দান করার সমান ফল পাওয়া যায়।

কাশী-

কাশীকে শিবের শহরও বলা হয়। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশ-বিদেশের মানুষ এখানে এসে রাজকীয় স্নান করেন। এই দিনে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও খিঁচুড়ি মহোৎসবের আয়োজন করা হয় যাতে বিপুল সংখ্যক ভক্ত অংশগ্রহণ করে।

হরিদ্বার-

হরিদ্বারও একটি ধর্মীয় শহর। এই উত্সব উপলক্ষে, গঙ্গা নদীর তীরে অনেক ঘাটে বিশ্বাস জড়ো হয়, তবে হর কি পৌড়িতে স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হয়। সংক্রান্তি উপলক্ষে এখানে মেলার আয়োজন করা হয় এবং এটাও বলা হয় যে গঙ্গায় ডুব দিলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

স্নান এবং দান করার জন্য শুভ সময়-

পুণ্যকাল – মকর সংক্রান্তির পুণ্যকাল মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিট

মহাপুণ্য কাল মহা মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

পাহাড়ে বেসুরো বিজেপি বিধায়ক! বহিরাগত প্রার্থী হলে নির্দল হয়ে লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাহাড়ে বেসুরো বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। এবার দলের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন কার্শিয়াংয়ের এই বিধায়ক। তার সাফ দাবি এবার লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং আসনে বিজেপি যদি বহিরাগত কাউকে প্রার্থী করে তবে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করবেন। এর আগে বিষ্ণুপ্রসাদবাবু নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য পোস্ট করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।

আরো পড়ুন- ভারতীয়দের ‘বয়কট মালদ্বীপে’র ডাক! চিনের কাছে পর্যটক চেয়ে কাতর আর্জি বিপন্ন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের

তিনি সেখানে লেখেন, বিজেপি পাহাড়ের এগারোটি গোষ্ঠীকে জনজাতির স্বীকৃতি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও কাজ করেনি। এদিনও একই প্রসঙ্গ তুলে তাঁর দাবি, “বিজেপি পাহাড়ের জন্য কিছুই করেনি। মাত্র চারটি গোষ্ঠীকে জনজাতির স্বীকৃতি দিয়ে পাহাড়ে ঝগড়া বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।” বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, বিজেপি বারবার বাইরের লোক এনে সাংসদ তৈরি করছে। এটা অন্যায়। বহিরাগতরা পাহাড়ের জন্য কোনও কাজ করে না। এবার পাহাড় থেকেই প্রার্থী ঠিক করতে হবে। যদি সেটা না করে তবে তিনি নিজে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবি তুলে সমালোচিত হয়েছেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক। একুশের বিধানসভা ভোটে জেতার কয়েকমাস পরই পৃথক রাজ্যের দাবিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে (JP Nadda) চিঠিও পাঠিয়েছিলেন বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। বিধানসভার বাইরে আম্বেদকর মূর্তি পাদদেশে তাঁকে একাই অবস্থানে বসতে দেখা যায়। এবার সরাসরি দলের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক।