নারদা মামলায় জামিন মিলল না ৪ নেতা মন্ত্রীর, আগামীকাল ফের শুনানি - Bangla Hunt

নারদা মামলায় জামিন মিলল না ৪ নেতা মন্ত্রীর, আগামীকাল ফের শুনানি

By Bangla Hunt Desk - May 19, 2021

বাংলা হান্ট ডেক্সঃ নারদ মামলায় (Narada Case) শুনানি শেষ। জামিন পেলেন না রাজ্যের চার হেভিওয়েট। জামিন পুনর্বিবেচনায় হাইভোল্টেজ এই মামলার ভার্চুয়াল শুনানি শেষে রায় অধরায় থেকে গেল। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী শুনানি পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে চারজন হেভিওয়েট নেতাকে।

আরো পড়ুন- খারিজ হতে পারে মুকুল শুভেন্দুর বিধায়ক পদ, বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস

এদিন হাইকোর্টে ৪ নেতা মন্ত্রীর জেল হেফাজত বহাল রাখার আর্জি জানায় সিবিআই। একইসঙ্গে মামলাটি অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদনও জানায় তারা। হাইকোর্টে অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, সিদ্ধার্থ লুথরা।

নারদ মামলার তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে। হাইকোর্টে সওয়াল সিবিআই -এর আইনজীবীর। পালটা বিচারপতির প্রশ্ন, ‘করোনাকালে কি অভিযুক্তদের জেলে রাখার প্রয়োজন?’ উত্তরে আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, ‘অভিযুক্তরা জেলে নেই, হাসপাতালে আছেন।’ অন্যদিকে, আইনজীবী তুষার মেহেতাকে হাইকোর্টের বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘চারজন তদন্তে সহযোগিতা করেননি, এমন কোনও অভিযোগ আছে কি?’

অভিযুক্তদের না জানিয়ে মামলা করা হল কীভাবে ? সিবিআই নানা কৌশলে তাঁদের জেলে ঢোকাতে চাইছে। হাইকোর্টে প্রশ্ন করেন অভিষেক মনু সিংভি।হাইকোর্টে তাঁর সওয়াল, ‘৭৫ বছরের বেশি বয়স সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। কোভিডের সময় এভাবে আটকে রাখা যায় না।’

সিবিআই-এর আইনজীবী তুষার মেহতা জানান, সেদিনের বিশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল। নিজামে প্রচুর মানুষ এসে ভিড় করেছিলেন। অফিসারদের পক্ষে তাই বাইরে আসা সম্ভব হয়নি। বেআইনি ভাবে ভিড় করে বিক্ষোভ দেখানোয় পরিস্থিতি বেগতিক দিকে গড়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর ‘আমাকেও গ্রেফতার করুন’ মন্তব্যও এদিন আদালতের সামনে তুলে ধরেন আইনজীবী। গ্রেফতার চার প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীর প্রভাবশালী তকমায় এখনও অনড় সিবিআই। এমন নজির আগে দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী।

উল্টোদিকে অভিষেক বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অশান্তি হয়নি। বরং তিনি এবং অন্য বিধায়কেরা অশান্তির বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা কর্মীদের বার বার শান্ত থাকতে বলেছেন। কোনও প্ররোচনা দেওয়ার উদাহরণ নেই। আসলে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর সহকর্মী। তাই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন। এ নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে।

গণতান্ত্রিক দেশে লোক রাস্তায় নেমেই প্রতিবাদ করে। আইনকে নিজের পথেই চলতে দেওয়া উচিত, বললেন সিঙ্ঘভি। অভিষেক বলেছেন, আইনমন্ত্রী নিম্ন আদালতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু মন্ত্রীর হওয়ার পাশাপাশি তিনি বিধায়ক। সেখানে এই ঘটনাটিকে অস্বাভাবিক ভাবে দেখব কেন? অনেক বিধায়ক তো এমনও বলছেন, আমাদের সতীর্থদের ধরে নিয়ে যাওয়া হল কারণ হারটা ঠিক হজম হয়নি।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর