এই মুহূর্তে ভোট হলে কার দখলে যেতে পারে বাংলার মসনদ? কি বলছে জনমত সমীক্ষা? জানুন - Bangla Hunt

এই মুহূর্তে ভোট হলে কার দখলে যেতে পারে বাংলার মসনদ? কি বলছে জনমত সমীক্ষা? জানুন

By Bangla Hunt Desk - February 16, 2021

বাংলা হান্ট ডেক্স ;  সব ঠিকঠাক চললে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যে বাজতে পারে ভোটের বাদ্যি। এপ্রিল-মে মাসেই হতে পারে ভোট। তার আগে এবিপি আনন্দ-সিএনএক্স জনমত সমীক্ষায় বঙ্গের মসনদে বসার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে থাকল তৃণমূল কংগ্রেস। ইঙ্গিত স্পষ্ট, বিরোধীদের হম্বিতম্বি থাকলেও, ২৯৪ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ঘাসফুল শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুশাসনেই আস্থা রাখছে বাংলার মানুষ।

আরো পড়ুন- বাম-কংগ্রেস জোটে সামিল আব্বাসও, আসন রফা চূড়ান্ত

জনমত সমীক্ষায় আভাস, তৃণমূল কংগ্রেস ১৪৬-১৫৬টি, বিজেপি ১১৩-১২১টি, বাম কংগ্রেস জোট ২০-২৮টি এবং অন্যান্যরা ১-৩টি আসন পেতে পারে। গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে যা যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ। তৃণমূল পেতে পারে ৪২ শতাংশ ভোট। বাংলার শাসক দলের ভোট শতাংশ লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় খুব একটা না কমলেও, বিজেপির ভোট প্রায় ৩ শতাংশ কমে ৩৭ শতাংশে নামতে পারে বলে ইঙ্গিত। অন্যদিকে, জোট করে কিছুটা অক্সিজেন পেতে পারে বাম এবং কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় দুটি দলের ভোট ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৭% পৌঁছাতে পারে ভোট। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বাম এবং কংগ্রেসের প্রায় ২৮ শতাংশ গত লোকসভা নির্বাচনে ২০ শতাংশ কমে ৭-৮ শতাংশে নেমে এসেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, সেই ভোটেই ফুলে-ফেঁপে উঠেছে বিজেপি। জনমত সমীক্ষা আভাস দিচ্ছে, সেই ভোট পুরোপুরি না ফিরলেও জোট হওয়ার কারণে সেটা কিছুটা ফিরে আসতে পারে বাম এবং কংগ্রেসের ঝুলিতে। অন্যদিকে মিমকে দেওয়া হয়েছে এক শতাংশ এবং অন্যান্যদের তিন শতাংশ ভোট। জনপ্রিয়তার নিরিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও সবার থেকে অনেকটাই এগিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ৩৮ শতাংশ মানুষ সমর্থন করছেন তাঁকে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় পছন্দ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ১৯ শতাংশ মানুষ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান। তবে মাসখানেকের ব্যবধানে তাঁর জনপ্রিয়তা ছয় শতাংশ কমে গিয়েছে। সেই নিরিখে অধীর চৌধুরির পক্ষে ভোট মাত্র ৫ শতাংশ।

আরো পড়ুন-  ভোটের মুখে সাড়ে ১৬০০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ রাজ্যে

মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ বছরের পারফরম্যান্সে খুশি রাজ্যের ৪৪ শতাংশ মানুষ। সেইসঙ্গে সিএএর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনকেও ৫৫ শতাংশ মানুষ সমর্থন করছেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। অর্থাৎ যে সিএএ ইস্যু নিয়ে বিজেপি বঙ্গ ভোটে ছক্কা হাঁকাতে চাইছে, তাকে ভালো চোখে দেখছে না বাংলার মানুষ, তা স্পষ্ট এই সমীক্ষায়। আবার, নির্বাচনী ইস্তেহারে সিএএ চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেও, বিজেপিকে ভোট দেওয়া হবে না বলেও মতামত পোষণ করেছেন ৫৪ শতাংশ মানুষ। সিন্ডিকেট রাজ নিয়ে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধোনা করে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীরা। কিন্তু সেটাও যে জনমানসে খুব একটা ছাপ ফেলে নি, তাও সমীক্ষা আভাস দিচ্ছে। ৩৬ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তাঁরা এই ধরনের কোনও সমস্যার ভুক্তভোগী হয়নি।

তবে সমীক্ষার যে ফল বেরিয়েছে, তা যে পুরোপুরি মিলে যাবে, সেরকম মোটেও নয়। তাই রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে। সেক্ষেত্রে কিংমেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট। তাতে অবশ্য অনেকেই বিধায়ক ‘কেনাবেচার’ ভ্রূকূটি দেখতে পাচ্ছেন

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর