পাকিস্তানে চরম খাদ্য সংকট, বহু জায়গায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চাল-গমের গাড়ি দেখলে পিছু নিচ্ছে বুভুক্ষু মানুষ। বেশিরভাগ রেশন দোকান বন্ধ। বিদ্যুতের অভাবে জলের পাম্প চালানো যাচ্ছে না অনেক জায়গায়। ফলে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের এই পরিস্থিতির জন্য লজ্জিত পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। সাহায্য চাইতে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করছেন।
গতকাল গিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমির শাহী। সেখানে গিয়ে বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে পাক প্রধানমন্ত্রী খোলাখুলি বলেন, আমি ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বেরিয়েছি। আমার এইটা ভেবে খারাপ লাগছে যে আমাদের দেশের হাতে পরমাণু বোমা আছে। অথচ ভাঁড়ারে চাল-গম নেই। এই পরিস্থিতির জন্য আমি লজ্জিত (Pakistan Crisis) ।
আরো পড়ুন- ফের বিয়ে করেছে দাউদ ইব্রাহিম! জামাই আদরেই পাকিস্তানে রয়েছে ডন
সামরিক খাতে খরচ এবং যুদ্ধ যে পাকিস্তানের আর্থিক মেরুদণ্ডকে চুরমার করে দিয়েছে তাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা তিনবার যুদ্ধ করেছি। হার-জিৎ প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি বলেন, আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী। আমাদের দুই দেশের মধ্যে কথা শুরু হওয়া দরকার। তার কথায়, আমরা যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছি, আমাদেরই ঠিক করতে হবে আমরা কী দেশকে ফের যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেব নাকি মুখোমুখি বসে কথা বলে একে অপরকে সহায়তা করব।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে হামলা জেরে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ বাণিজ্যও। আফগানিস্তানে ভারত খাদ্য পাঠাতে পাকিস্তানের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করলেও তা ছিল ত্রাণ। বাণিজ্যিক সরবরাহ নয়। গত বছর পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিপুল ত্রাণ সামগ্রী পাঠান সে দেশে। কিন্তু কূটনৈতিক আলোচনা শুরু হয়নি। লক্ষণীয় হল, কাশ্মীরের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলও চাইছে ভারত আলোচনার দরজা খুলুক। কিন্তু সেখানে বিধানসভার ভোট না হওয়া পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে।