আজ ১৭ ডিসেম্বর। একটি দিন ২৪ ঘণ্টা। ১৪৪০ মিনিট। ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ড। সময়ের হিসেবে অতি অল্প মনে হলেও একটি ঘটনার জন্য তা যথেষ্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ইতিহাসের কৌতুহল উদ্দীপক ও উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো জেনে নেবো। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়-একনজরে দেখে নিই। ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
ঘটনাবলী—-
১৩৯৯ – পানিপথের যুদ্ধে তৈমুর লঙ দিল্লির সুলতান মুহম্মদ তুঘলককে পরাস্ত করেন।
১৮৭৩ – বুদাপেস্ট নগরীর পত্তন হয়।
১৯০৩ – রাইট ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম উড়োজাহাজে উড্ডয়ন করেন।
দিনটি আমেরিকায় রাইট ব্রাদার্স দিবস।
১৯৩১ – প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ কলকাতায় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৪২ – বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠন করেন।
১৯৯৬ – পেরুর জিম্মি সংকট শুরু।
জন্ম—
১৭৭০- জার্মান সুরকার ও পিয়ানো বাদক লুডউইগ ভ্যান বেইটোভেন।
১৮৯২- ভারতীয় বাঙালি সাংবাদিক বঙ্কিমচন্দ্র সেন।
১৯০২- ভারতীয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মালতী ঘোষাল।
১৯২০- টুরিং পুরস্কার বিজয়ী কম্পিউটার বিজ্ঞানী কেনেথ আইভার্সন।
১৯৩৬- বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক দেবেশ রায়। ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলায়, অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে তার জন্ম। তিস্তা পারের বৃত্তান্ত উপন্যাসটির জন্য তিনি ১৯৯০ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন। বাংলা সাহিত্যে তিনি একজন ছকভাঙা আধুনিক ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
১৯৭৯- বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাবনূর।
১৯০০- ব্রিটিশ গণিতবিদ মেরি কার্টরাইট।
১৯২০ – কেনেথ আইভার্সন, টুরিং পুরস্কার বিজয়ী কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
মৃত্যু—–
১৯৩৮- প্রখ্যাত বাঙালি লেখক, সম্পাদক ও অনুবাদক চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮৭৭ সালের ১১ অক্টোবর অবিভক্ত বাংলার মালদহের চাঁচলে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। তাদের আদি বাসস্থান ছিল বর্তমান বাংলাদেশের যশোরে। চারুচন্দ্রের সাহিত্য জীবনের শুরু ‘মেঘদূত’,’মাঘ’ প্রভৃতি পত্রিকায় সংস্কৃত সাহিত্যের সমালোচক হিসেবে।
১৯৬১ – শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক গোলাম মাকসুদ হিলালী।
২০০২ – আইদেউ সন্দিকৈ, অসমীয়া চলচ্চিত্রের প্রথম মহিলা অভিনেত্রী।
২০১১ – কিম জং-ইল, গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া বা উত্তর কোরিয়ার শাসক ও প্রধান ব্যক্তিত্ব।
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।