Bangla Hunt Digital

তাওয়াংয়ে কেন রয়েছে চিনের লোলুপ দৃষ্টি, ওই এলাকার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব কি? জেনে নিন

তাওয়াংয়ে কেন রয়েছে চিনের লোলুপ দৃষ্টি, ওই এলাকার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব কি? জানুন

বাংলাহান্ট ডিজিটালঃ তাওয়াং ও চাম্বা উপত্যকা ভারতীয় সেনার জন্য কৌশলগত দিক থেকে বেশ প্রাসঙ্গিক। কারণ তাওয়াং থেকে ভূটান সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত আর চাম্বা থেকে নেপাল তিব্বত সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত।

৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের প্রদেশের তাওয়াংয়ের ইয়াংৎস এলাকায় চিনা আগ্রাসনের পর সেদেশের সেনা মোক্ষম জবাব পেয়েছে ভারতের তরফে। চিনা সেনার দাবি ছিল, ইয়াংৎসের ভারতীয় সেনা ছাউনি সরিয়ে দিতে হবে। আর তার জন্য ৩০০ চিনা সেনা নিয়ে তারা অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত দিয়ে আক্রমণ করে। প্রশ্ন উঠতেই পারে এই তাওয়াং এলাকার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব ঘিরে। কেন ওই জায়গাকেই সংঘর্ষের ময়দান হিসাবে চিন বেছে নিল? কেনইবা ওই এলাকায় ভারতীয় ছাউনি ঘিরে শঙ্কা রয়েছে চিনের? দেখে নেওয়া যাক কিছু তথ্য।

তাওয়াং

আরো পড়ুন- চিনা দূতাবাস থেকে কোটি কোটি টাকা অনুদান নিয়েছে কংগ্রেস, পাল্টা আক্রমন অমিত শাহের

১৯৬২ সালের যুদ্ধে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সংলগ্ন এলাকার একটা বড় অংশ দখলে রেখেছিল চিন। ১৭ হাজার ফুট ওপরের অরুণাচল প্রদেশের এই তাওয়াংয়ের সেই দখল করা অংশ পরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় চিন। কারণ সেই অংশগুলি ম্যাকমোহন লাইনের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। সেই অংশে ফের থাবা কষাচ্ছে চিন। এই এলাকা দখলে রাখলে চিন বেশ কিছু সুবিধা পেতে পারে।

চিন চাইছে তাওয়াং পোস্ট দখল করতে। তাহলে তারা তিব্বত ও এলএসি দুটি দিকেই নজরদারি রাখতে পারবে। এছাড়াও দালাই লামার সঙ্গে তাওয়াংয়ের যোগ রয়েছে। ১৯৫৯ সালে চিনের দখলে থাকা তিব্বত থেকে পালিয়ে এসে অরুণাচল প্রদেশে প্রথমে আশ্রয় নেন দালাই লামা। সেই সূত্র ধরে এই এলাকার সঙ্গে চিন সম্পর্কে ক্ষুব্ধ দালাই লামার যোগ রয়েছে।

তাওয়াং ও চাম্বা উপত্যকা ভারতীয় সেনার জন্য কৌশলগত দিক থেকে বেশ প্রাসঙ্গিক। কারণ তাওয়াং থেকে ভূটান সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত, আর চাম্বা থেকে নেপাল তিব্বত সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত। এদিকে, চিন দাবি করে অরুণাচলের একটা বড় অংশ তাদের। সেই জায়গা থেকে দুটি বিশেষ সেনা পোস্ট দখল করতে চায় চিন। যা পেলে অরুণাচলে নিজের দাবি জোরদার করার বার্তা দিতে আগ্রাসী বেজিং।