Bangla Hunt Digital

রাজ্যে আসছে নতুন প্রকল্প ‘কর্মশ্রী’, রাজ্য বাজেটে বড়সড় সিদ্ধান্ত, উপকৃত হবে লক্ষ লক্ষ পরিবার

রাজ্যে আসছে নতুন প্রকল্প 'কর্মশ্রী', রাজ্য বাজেটে বড়সড় সিদ্ধান্ত, উপকৃত হবে লক্ষ লক্ষ পরিবার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকারের শেষ বাজেট। এই বাজেটকে জনমুখী হবে এমনটাই ধারণা করেছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। হলটাও তাই। রাজ্যের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মমতা সরকার ‘কর্মশ্রী প্রকল্প’ ঘোষনা করলেন। কেন্দ্রের  ১০০ দিনের প্রকল্পের পাল্টা এই প্রকল্পের ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। নতুন কর্মশ্রী প্রকল্পে ৫০ দিন করে কাজ দেওয়ার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

লোকসভা ভোটের আগেও রাজ্য সরকার বাজেটে প্রায় কল্পতরু হয়ে উঠল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ৫০০ থেকে বেড়ে ১০০০ টাকা, সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি ছাড়াও ঘোষণা হল নতুন প্রকল্পেরও। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, রাজ্য সরকার চালু করছে নয়া প্রকল্প ‘কর্মশ্রী’। এই প্রকল্পে প্রত্যেক জব কার্ড হোল্ডারকে বছরে কমপক্ষে ৫০ দিনের কাজ নিশ্চিত করা হবে।

আরো পড়ুন- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ৫০০ থেকে বেড়ে ১০০০ টাকা, রাজ্য বাজেটে বিরাট ঘোষণা

একশো দিনের বকেয়া মেটাচ্ছে না কেন্দ্র। রাজ্যের তরফে এনিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে। কেন্দ্রকে একাধিকবার চিঠিও দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু বকেয়া আদায় হয়নি। গতমাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বকেয়া মেটানোর জন্য ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। তার মধ্যে টাকা না মিললে ধরনার ডাকও দেন তিনি। সেই মতো চলতি মাসের শুরু রেড রোডে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেও বকেয়া আদায় হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বাজেটে শ্রমিকদের জন্য বড়সড় সুখবর দিলেন অর্থমন্ত্রী। জানালেন, MGNREGA প্রকল্পে কেন্দ্র বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় ২১ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডার শ্রমিক যারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের বকেয়া মেটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মজুরি প্রদানের কথা বলা হয়েছে। যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৭০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের পালটা চালু হচ্ছে কর্মশ্রী প্রকল্প। এতে প্রত্যেক জবকার্ড হোল্ডার বছরে ৫০ দিন নিশ্চিতভাবে কাজ পাবেন। চলতি বছরের মে মাসে শুরু হবে এই প্রকল্প।

কৃষকদের স্বার্থেও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাজেটে। অন্যান্য শষ্যের মতো আলু চাষের ক্ষেত্রেও বিমার প্রিমিয়াম বাংলা শষ্যবিমা যোজনায় রাজ্য সরকার বহন করবে বলেই জানানো হয়েছে। এর ফলে ২০ লক্ষ আলু চাষি উপকৃত হবেন। এই বিমা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে উৎসাহ দিতে আগামী ২ বছরে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ২০০০ ফার্ম মেশিনারি হাব হবে। কাস্টম হায়ারিং সেন্টার গঠন করা হবে। এতে ৩০ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন। এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৫০ কোটি। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য বাজেটে খুশি শ্রমিক-কৃষক সকলেই।

Related Post