বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, রেগে গিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএম নিয়ে পুকুরেই ফেলে দিলেন গ্রামবাসীরা। উত্তপ্ত কুলতলি । এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে মাঝপথেই পুলিশকে আটকানো হয়। রাস্তার মাঝে গাছের গুঁড়ি ফেলে দিয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
লোকসভা ভোটগ্রহণের শেষপর্বে ফিরল অশান্তির ‘চেনা’ ছবি। ভোট শুরুর আগে থেকেই দফায়-দফায় উত্তেজনার ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। এর মধ্য়ে অন্যতম জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কুলতলির মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের ৪০ ও ৪১ নম্বর বুথের ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাদের ভোট দিতে বাধা দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদেই ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পুকুরে ফেলে দেয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পুলিশ এলে তাদের গাড়ির সামনে গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ চলতে থাকে।
বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারীর অভিযোগ, বিরোধী এজেন্টদের বসতে দিচ্ছিল না তৃণমূল। এদিকে নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি।
বিজেপির দাবি, সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি তাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। এমন মারধর করা হয়েছে তিনি আর উঠতে পারছেন না। পুলিশ এসে কিছুই করতে পারছে না। এদিকে গ্রামবাসীদেরও অভিযোগ, তাদের ভোট দিতে বাধা দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এদিকে এই সব উত্তেজনার মাঝে আহত হন এক বিজেপি কর্মী। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর মা জানান, তাঁর ছেলে এবারে বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছেন। তবে ছেলে বুথে বসতে গেলে তাঁকে ধরে মারধর করা হয়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান কমিশনের আধিকারিকরা। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। এদিকে সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের ৪০ ও ৪১ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ ব্যাহত হয়। পরে বিকল্প ইভিএম এনে সেখানে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে রাজ্যের বহু জায়গায়। সেখানে ব্যালট বাক্স জলে ফেলা হয়েছিল। এই নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘৪১ ও ৪১ নম্বর বুথে এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার গ্রামের মহিলারা জমায়েত করেন। তাঁদের দাবি এজেন্টদের বসতে দিতে হবে। কিন্তু শাসকদল বাধা দেয়। এজেন্টদের বসতে দিতে চাইছে না। সেই জন্য সমস্ত মহিলারা একজোট হয়ে ইভিএম জলে ফেলে দেন।’