বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তিন দিন পার হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) অন্যতম অভিযুক্ত শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারেনি ইডি। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শঙ্কর আঢ্যর মতই গুরুত্ব শাহজাহান শেখ। কারণ তাঁর হাত থেকেই রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়। জেলবন্দি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ট ছিলেন তিনি।
ইডি সূত্রের খবর, শাহজাহান রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পৌঁছে দিত। মন্ত্রীর টাকা তিনি সরাসরি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থায় নিয়োগ করতেন।যদিও শঙ্কর আঢ্যর মত তার ফরেক্স কোম্পানি তৈরির প্রয়োজন হয়নি। খুব সহজে শাহজাহান বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে মন্ত্রীর কালো টাকা সাদা করে ফেলতে পারতেন। সূত্রের খবর ইডি শাহজাহানের বিরুদ্ধে পার্ক অ্যান্ড লন্ডারের অভিযোগ করেছে। এর অর্থ শাহজাহান কালো টাকা উপযুক্ত ঠিকানায় পৌঁছে দিত। বালুর টাকা শাহজাহান জলপথে না স্থলপথে পাচার করেছে তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।
আরো পড়ুন- বালুর হাত ধরেই হাতেখড়ি! বনগাঁর ত্রাস শঙ্কর আঢ্যর উত্থান যেন সিনেমাকেও হারমানায়
ইডি সূত্রের খবর, ‘মেয়েকে লেখা’ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি থেকেই সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহানের নাম তারা জানতে পেরেছে। তারপর থেকেই শাহজাহানকে নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। শাহজাহান সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পরই সন্দেশখালিতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর চড়াও হয় শাহজাহানের অনুগামীরা। মাথা ফাটে ইডি আধিকারিকের। তারপর থেকেই নিখোঁজ শাহজাহান।
এই শাহজাহান এবং শঙ্কর দু’জনেই জ্যোতিপ্রিয়কে সমান ভাবে সাহায্য করেছেন বলে অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। হয়তো তাই শঙ্কর ধরা পড়ার পর প্রমাণ লোপাট করতে নিজের পাঁচটি মোবাইল নষ্ট করেছেন শাহজাহান। এমনকি, নিজের প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশেও আশ্রয় নিয়েছেন বলে সন্দেহ ইডি গোয়েন্দাদের। যদিও অন্য একটি সূত্র বলছে, শাহজাহান এখনও এ দেশেই আছেন। সীমান্ত লাগোয়া কোনও স্থানে আত্মগোপন করে রয়েছেন।