বাংলার প্রাপ্য বকেয়া চাইতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), আজ, বুধবার দিল্লির নয়া সংসদ ভবনে মোদির (PM Modi) সঙ্গে সকাল ১১টায় বৈঠক শুরু। বৈঠকে মমতার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন আরও ১০ তৃণমূল সাংসদ।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দি রায়দের নিয়ে বুধবার মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। সূত্রের খবর, বৈঠকের জন্য নির্ধারিত কক্ষে ঢুকতেই মমতাকে দেখে এগিয়ে আসেন মোদি। প্রশ্ন করেন, “দু’মাস তো হয়ে গেল পায়ে আঘাত লেগেছিল। এখন কেমন আছে আপনার পা?” উত্তরে মমতা বলেন, “আমি ভাল আছি, আপনি ভাল তো?”
১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা। বকেয়ার দাবিতে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, জমা দেন মেমোরেন্ডামও।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে মমতা জানান, ১০০ দিনের কাজ, প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, ন্য়াশনাল হেলথ মিশন-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের পাওনা প্রায় ১ কোটি ১৬ লক্ষ কোটি টাকা।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনই তৃণমূল সরকারের বিরুদধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুধু তাই নয়, মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর মমতা যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন, প্রায় ওই একই সময়ে নবান্নে হাজির হন শুভেন্দু। সেখানে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেন। কেন্দ্রের দেওয়া টাকা রাজ্য নয়ছয় করেছে, বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে লেখা পোস্টারও ছিল শুভেন্দুর হাতে।
নবান্ন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এই নাটুকে, মিথ্যাবাদী, পরিবাবাদী, তোষণবাদী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের কোনও অধিকার নেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বঞ্চনার দাবি তোলার।” কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে নবান্নে ঢোকার প্রশ্নে শুভেন্দু জানান, ১৪৪ ধারা জারি থাকে সব সময়। আগে জানালে ঘেঁষতে দেওয়া হতো না তাঁদের।