Bangla Hunt Digital

পৃথিবীর এমন একটি জায়গা, যেটি ৬ মাস এক দেশে, ৬ মাস অন্য দেশে! বদলে যায় আইনও

মাস এক দেশে, ৬ মাস অন্য দেশে! বদলে যায় আইনও

এত বৃহৎ পৃথিবীতে রহস্য রোমাঞ্চের শেষ নেই। কোনো জায়গায় ছোট্ট একখানা জমির জন্য লড়াই চলে, তো কখনো একটা গোটা দেশকেই গ্রাস করে নেয় আগ্রাসী শক্তি। তবে আজ আমরা এমন এক জায়গার কথা বলবো যেখানে ৬-৬ মাস করে সরকার চালায় দুই দেশ!

আরো পড়ুন- দীর্ঘ ইতিহাস বুকে চেপে আজোও সময় জানান দেয় ঘড়ির মোড়ের ঘড়ি

হ্যাঁ, এমনও জায়গা রয়েছে বিশ্বে। ইউরোপে অবস্থিত এই বিশেষ জায়গাটি অবস্থিত ফ্রান্স ও স্পেনের সীমান্তে। সেখানে দুই দেশই ৬-৬ মাস করে নিজেদের সরকার চালায়। মজার ব্যাপার হলো দুই দেশেরই সম্মতি রয়েছে এ ব্যাপারে।

কোনো রক্তক্ষয়ী, প্রাণনাশি যুদ্ধ ছাড়াই একে অপরের সাথে মিলেমিশে ফ্রান্স এবং স্পেন দুজনে মিলে সরকার চলায় ফিজান্ট নামের একটি দ্বীপে। বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১শে জুলাই অবধি দ্বীপটির মালিকানা থাকে থাকে স্পেনের কাছে। এরপর ১লা আগস্ট থেকে ৩১ শে জানুয়ারি অবধি ফ্রান্স নিয়ন্ত্রণ করে এই দ্বীপটি।

বিগত ৩৫০ বছর ধরে উভয় দেশ এই রীতি মেনে চলেছে। দুই দেশের সীমান্তের মাঝে বয়ে চলেছে বিদাসোয়া নামের একটি নদী। নদীর ওপর রয়েছে এই বিশেষ দ্বীপ। ফিজান্ট নামের এই দ্বীপে কেও বসবাস করেন না। দ্বীপে ফরাসি এবং স্প্যানিশ, উভয় বাহিনীর জওয়ানরাই অবস্থান করছে সেখানে।

আরো পড়ুন- আলাস্কান উড ফ্রগ, এক আশ্চর্য ক্ষমতার অধিকারী এই ব্যাঙ

দ্বীপের ওপর একটি ঐতিহাসিক ভবনও নির্মিত হয়েছে। এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয় ১৬৫৯ সালে। আরো অবাক করা বিষয় এই যে, এক রাজকীয় বিয়ের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। স্পেনের রাজা চতুর্থ ফিলিপ বিয়ে করেন ফরাসি রাজা লুই চতুর্দশের কন্যাকে। তখন এই দ্বীপ নিয়ে দুদেশের বিরোধীতার শেষ হয়। প্রসঙ্গত একই দ্বীপে উভয় দেশের শাসনকে বলা হয় কনডমিনিয়াম।

দ্বীপটি অবশ্য আকার আয়তনে খুবই ছোট। ২০০ মিটার লম্বা এবং ৪০ মিটার চওড়া দ্বীপ নিয়ে উদ্বিগ্ন দুই দেশের স্থানীয় জনগণ। নদী বক্ষে ডুবতে বসেছে দ্বীপটি। যদিও দুদেশের সরকার এক টাকাও খরচ করতে রাজি নয় দ্বীপটিকে বাঁচিয়ে রাখতে।

Related Post