পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়া পাত্রসায়ের এলাকা বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপি নেতা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। এর পাশাপাশি ওই বিজেপি নেতার পরিবারের অন্যান্য সদস্য মারধর করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই শ্যামাপদ বাউরির বাড়িতে চড়াও হয়। এরপরেই তারা লাঠিসোটা, রড, কুড়ুল দিয়ে বিজেপি নেতাকে একের পর এক আক্রমণ করেন। বিজেপির ওই বুথ সভাপতিকে কুড়ুল দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপ মারার পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপক মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে প্রথমে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি বলেন, ‘বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তাপস বারির নেতৃত্বে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী শ্যামাপদ বাউরিকে মারধোর করেছে। ওই ঘটনা দেখলে শিউরে উঠতে হয়।’ এরপরই তিনি বহুচর্চিত বগটুই কাণ্ড ও লালন শেখের মৃত্যুর উদাহরণ টেনে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পাত্রসায়র এলাকায় যারা এই ধরণের দুষ্কর্ম করছেন তাঁদের পরিবারের লোকেরা এঁদের শোধরানোর ব্যবস্থা করুন। আর তা না করলে লালন শেখের পরিবারের লোকেদের মতো কান্নাকাটি করতে হবে।’ যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওরকমভাবেই যুক্ত নয় এমনটাই দাবি তৃণমূলের।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত দত্ত জানান, ‘এটা ব্যক্তিগত বিবাদ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে।’