Bangla Hunt Digital

তৃণমূলের শুদ্ধিকরণে অভিষেক, রিপোর্ট পেলেই ছাঁটাই!

তৃণমূলের শুদ্ধিকরণে অভিষেক, রিপোর্ট পেলেই ছাঁটাই!

বাংলাহান্ট ডেক্স: এবার তৃণমূলের ব্লক, টাউন সভাপতি, ছাত্র ও যুব শাখায় রদবদল হতে পারে। আইপ্যাক ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দপ্তর জেলায় জেলায় খোঁজ নিচ্ছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন নেতা সম্পর্কে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে গুরুতর অভিযোগ এসেছে—কাটমানি নেওয়া, স্বজনপোষণ, এবং দলীয় কর্মীদের প্রতি অহংকারপূর্ণ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের।

এই পরিস্থিতিতে অভিষেক স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছেন, যেই হোক না কেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রয়োজন হলে সাসপেন্ড কিংবা বহিষ্কার পর্যন্ত করা হতে পারে।

রাজনীতিতে শৃঙ্খলা ফেরানোর ডাক

তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে, কিছু নেতা মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের আচরণ ও কার্যকলাপ দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। তাই দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে জেলার বিভিন্ন স্তরে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। আইপ্যাক ও অভিষেকের নিজস্ব টিম মাঠে নেমে এলাকায় এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করছে। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলিতে সংগঠনের কার্যকারিতা নিয়েও বিশ্লেষণ চলছে। অভিষেকের মতে, যেখানে দল পিছিয়ে, সেখানে রদবদল অনিবার্য।

অভিষেক চান পিছিয়ে পড়া এলাকা মানেই সেই এলাকায় রদবদলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ২১ জুলাই মিটলেই বড় সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে খবর তৃণমূল সুত্রে। এনিয়ে বিধায়ক ও জেলা নেতাদের তলব করা হতে পারে কলকাতায়।

দলীয় অনুশাসনের বার্তা

অভিষেক বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন—দল নয়, মানুষই শেষ কথা। দলের দায়িত্বশীল নেতৃত্ব যেন জনসংযোগে অগ্রাধিকার দেন, দলীয় কর্মীদের সম্মান করেন, এবং জনগণের সমস্যা নিষ্ঠার সঙ্গে সমাধানে উদ্যোগী হন—এই বার্তা তিনি বারবার দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে নতুন প্রজন্মের তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলা, জনসংযোগ ও দায়বদ্ধতাকে সামনে রেখেই আগামী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।