Bangla Hunt Digital

ছিল না গৃহশিক্ষক, মাধ্যমিকে তৃতীয় বীরভূমের কন্যা, কেমন ছিল পুষ্পিতার লড়াই

ছিল না গৃহশিক্ষক, মাধ্যমিকে তৃতীয় বীরভূমের কন্যা, কেমন ছিল পুষ্পিতার লড়াই

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুষ্পিতা বাঁশুড়ি। মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে সে আর মেয়েদের মধ্যে প্রথম পুষ্পিতা। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১ । বীরভূমের ইলামবাজার থানার কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুষ্পিতার এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর আত্মীয়স্বজন। গ্রামের বাসিন্দারা।

দারোন্দা হাই স্কুলের বাংলার পার্শ্বশিক্ষক মা তনুশ্রী ঘোষ এবং বিজ্ঞান শাখার গৃহশিক্ষক বাবা সত্যনারায়ণ বাঁশুরি মেয়ের সাফল্যে আপ্লুত। সংবাদমাধ্যমকে পুষ্পিতা বলে, “গৃহশিক্ষক ছাড়াই এত ভাল ফল করব এটা আশা করিনি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং মা-বাবাকে ছাড়া এই ফল মিলত না।”

পুষ্পিতার কথায়, “খুব ভালো লাগছে এই সাফল্যে। তৃতীয় হব এটা ভাবতে পারিনি। আমার সাফল্যর নেপথ্যে আমার মা-বাবা। স্কুলের শিক্ষকদের অবদান রয়েছে অনেকটাই। আমি প্রতিদিনই স্কুলে যেতাম। আর স্কুলের সময় বাদ দিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করার চেষ্টা করতাম। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।”

এবার যারা মাধ্যমিক দিতে চায় তাদের জন্য টিপস দিয়েছে পুষ্পিতা। সে জানিয়েছেন, ভালো করে পড়াশোনা করতে হবে।

পুষ্পিতার মা তনুশ্রী ঘোষ জানিয়েছেন, আমরা আশা করেছিলাম যে ও মাধ্যমিকে একটা ভালো জায়গায় থাকবে। কিন্তু এতটা ভালো করবে এটা ভাবতে পারিনি। ছোট থেকে ওর মধ্য়ে একটা চেষ্টা ছিল যে আমায় কিছু একটা ভালো করতে হবে। ওর চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। একজন প্রাইভেট টিউশনও ছিল না। নিজের চেষ্টাতে করেছে। আমরা যতটা পেরেছি ততটা করেছি। আমার স্কুলের সহকর্মীরাও খুব সহায়তা করেছে। খুব লড়াই করেছে মেয়েটা। মেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। তারপর দেখা যাক কী হয়। ইঞ্জিনিরায়িং নিয়ে পড়তে চায়।

Related Post