বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার রাতে আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ সমর্থকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে দিল্লি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাসভবন ঘেরাও করার কর্মসূচি নিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দিল্লির মন্ত্রী গোপাল রাই।
আজকের কর্মসূচির জন্য সকাল ১০টার সময় দলের সমর্থকদের পটেল চক এলাকায় জড়ো হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আপ নেতৃত্বের তরফ থেকে। এই আবহে জমায়েত বাড়তেই পটেল চক মেট্রো থেকে শুরু করে আশেপাশএর জায়গা থেকে আম আদমি পার্টি কর্মী-সমর্থকদের আটক করে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দেবেশ কুমার মাহলা জানান যে, আপকে (প্রতিবাদ কর্মসূচির) কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। অশান্তি এবং কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় দিল্লি পুলিশ কী পদক্ষেপ করছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে এবং পটেল চকের সামনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাহিনী রাখছি। কোনও অবস্থান বিক্ষোভ বা মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না।”
দিল্লির ৭, লোককল্যাণ মার্গেই রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই লোককল্যাণ মার্গ মেট্রো স্টেশনের সামনে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পটেল চক এবং সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট মেট্রো স্টেশনে ঢোকা-বেরোনোর কিছু গেট ‘নিরাপত্তার কারণে’ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে মেট্রো পরিষেবা। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজধানী এলাকায় টহল দিচ্ছে তাদের ৫০টি টহলদার গাড়ি।
আপের কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপিও। তারা মঙ্গলবার ফিরোজ় শাহ কোটলা স্টেডিয়াম থেকে দিল্লি সেক্রেটারিয়েট পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে। এই মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন দিল্লির বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব।
এদিকে জেল থেকেই দিল্লির সরকার চালিয়ে যাচ্ছেন কেজরিওয়াল। গতকাল ইডি হেফাজতে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের দ্বিতীয় নির্দেশিকা জারি করেন কেজরিওয়াল। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজকে তিনি নির্দেশ দেন যাতে দিল্লির কোনও মহল্লা ক্লিনিকে ফ্রি ওষুধের ঘাটতি না দেখা দেয়। পরে সৌরভ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘দিল্লির মানুষের জন্য কেজরিওয়াল খুবই চিন্তিত’। এদিকে বিজেপি পালটা অভিযোগ করেছে, সহানুভূতি পেতে কেজরিওয়াল ‘নাটক’ করছেন। এই সবের মাঝেই আজ দিল্লির রাজনৈতির পারদ ক্রমেই চড়ছে। লোকসভা ভোট পর্যন্ত এই পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।