বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গা ঢাকা দিয়ে শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল কাঁচরাপাড়ায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে চুরির মূল পান্ডা সুমন রায় (Suman Roy)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৫ জুলাই কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোডে ব্যবসায়ী পার্থ মজুমদার বাড়িতে গোডাউন থেকে মাল ও টাকা চুরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় গোডাউন থেকে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা মাল চুরি করছে তার কর্মচারী সুমন রায়। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর তারপর থেকে পলাতক ছিল মুল অভিযুক্ত সুমন রায়। এতদিন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে শেষ রক্ষা হলো না। পুলিশের জালে ধরা পড়লো মূল অভিযুক্ত সুমন রায়। এদিন কাঁচরাপাড়া স্টেশনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগামীকাল তাকে কোর্টে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই সুমন রায় বহু বছর ধরে কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোডের ব্যবসায়ী পার্থ মজুমদারের গোডাউন থেকে পোস্ত ও বিভিন্ন দামী মশলা চুরি করে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করত। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গিয়েছে প্রতিমাসে অন্তত ৫ থেকে ৬ দিন চুরি করত। এই মাল তিনি কোথায় কোথায় বিক্রি করতেন এবং চুরি টাকা কোন কোন একাউন্টে লেনদেন হয়েছে সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখচ্ছে পুলিশ।
ব্যবসায়ী পার্থ মজুমদার জানান, এই সুমন রায় দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আমার কাছে কাজ করত। তার পিতার নাম অভিজিৎ রায়। বাড়ি কাঁচরাপাড়া আগুরি পাড়ায়। তিন বছর ধরে আমার মা ব্লাড ক্যান্সের আক্রান্ত হওয়ায় মায়ের চিকিৎসার জন্য বেশিরভাগ সময় আমি কলকাতা টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে থাকতাম। সেই সুযোগে আমার কর্মচারী সুমন রায় বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা ও মাল চুরি করতো। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গিয়েছে প্রতিমাসে ৬ থেকে ৭ বার প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে মাল ও টাকা চুরি করত। আমার মায়ের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তিন বছরের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার উপরে মাল ও টাকা চুরি করেছে। পার্থ বাবু আরো জানান, পরে চুরির কিছু মাল তার প্রেমিকা কাঁচরাপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পায়েল সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। আর তারপর থেকেই পলাতক ছিল সুমন।
এ দিকে ধৃত সুমন রায় কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইছে পুলিশ। সেই কারণে শুক্রবার তাকে পেশ করা হবে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে।
বিস্তারিত আসছে…