Bangla Hunt Digital

উত্তরের চা বলয়ে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ধস! রাশ ধরুক আরএসএস, জোর চর্চা দলের অন্দরে

উত্তরের চা বলয়ে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ধস! রাশ ধরুক আরএসএস, জোর চর্চা দলের অন্দরে

উত্তরের চা বলয়ে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ধস, দলীয় সংগঠনের উপর আর ভরসা নেই । বরং, বাগান শ্রমিকদের ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পেতে চা বলয়ের রাশ এখন থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) হাতে থাকুক— এমনই চাইছেন খোদ বিজেপি নেতাদের একাংশও। কিন্তু চাইলেও সেই কাজ তত সহজ নয় বলেও মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের ওই নেতাদের অনেকেই।

এবার লোকসভা ভোটে চা শ্রমিকদের মন জয়ে বিজেপিও চেষ্টার কোনও কসুর করেনি। এদিকে চা বলয়ের অন্যতম আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে এবারও জিতেছে বিজেপি। তবে দুটি কেন্দ্রেই জয়ের ব্যবধান কমেছে। আর সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের মালবাজার আর আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের নাগরাকাটা এই দুটি জায়গায় রয়েছে একাধিক চা বাগান। আর এখানকার ভোট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করেন চা শ্রমিকরা। আর সেখানে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে বিজেপির থেকে। আর আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের অপর চা বাগান অধ্য়ুষিত এলাকা মাদারিহাট ও কালচিনিতে তৃণমূলের থেকে বিজেপি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও গত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে যতটা ব্যবধান তৈরি করতে পেরেছিল ততটা নয়। এটাই বিজেপির কাছে চিন্তার বড় কারণ।

কারণ চা বলয়ে সংগঠন যদি ধস নামে তাহলে বিরাট সমস্যায় পড়তে পারে বিজেপি। আর ইতিহাস বলছে চা শ্রমিকরা একবার পাশ থেকে সরে গেলে তাদের ফের সেই পতাকার নীচে ফেরানো বেশ কষ্টকর। সেক্ষেত্রে বিজেপি শেষ পর্যন্ত এই কাজ কতটা করতে পারবে সেটাই দেখার।

আরো পড়ুন- একী কাণ্ড? বাংলায় ৩ বিজেপি সাংসদ যোগাযোগ করছেন তৃণমূলের সঙ্গে!

চা সুন্দরী প্রকল্প, চা শ্রমিকদের রেশন, চা সুন্দরী এক্সটেনশন সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের জেরে চা বলয়ে খুব দ্রুত সংগঠন করতে পেরেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপিও ধাপে ধাপে নানা বঞ্চনাকে সামনে রেখে সংগঠনকে মজবুত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এবারের ফল দেখে বোঝা যাচ্ছে ধস নামছে বিজেপির ভোটে। সেক্ষেত্রে এই পরিস্থিতিতে এখন ভরসা বলতে আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। কিন্তু প্রকাশ্যে এনিয়ে বিজেপি নেতারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

যদিও সেই বিজেপি নেতাদের একাংশই জানাচ্ছেন, বিষয়টি তত সহজ নয়। কারণ, চা বলয়ের রাজনীতির ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দলীয় পতাকাও বড় ‘ফ্যাক্টর’। যে পতাকাকে সামনে রেখে নির্বাচনে কোনও দল লড়াই করে। বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ বলেন, “চা বলয়ের দলের ভোট কেন কমল, সে বিষয়ে দলে অবশ্যই পর্যালোচনা করা হবে। সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের মাথায় রয়েছেন জন বার্লা। তিনি এবার ভোটে কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁর সংগঠন এবার কতটা মাঠে নেমেছিল সেটাও দেখার।